পাইকগাছার কৃতি সন্তান মহিউদ্দীন মাহি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর

ক্রাইমবার্তা রিপোট:পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥    পাইকগাছার কৃতি সন্তান মোঃ মহিউদ্দীন মাহি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। গত ৬ 22ফেব্র“য়ারি সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রশাসনিক এ গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি নিয়োগ পান। মহিউদ্দীন মাহি পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের ধামরাইল গ্রামের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন মোড়ল ও মাজেদা বেগমের ছেলে। ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে মাহি সকলের ছোট। বড় ভাই মশিউর রহমান লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েট স্কুলে প্রভাষক ও বোন মনিরা খাতুন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী হিসেবে কর্মরত। মাহি ২০০১ সালে চাঁদখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় এসএসসি, ২০০৩ সালে পাইকগাছা কলেজ থেকে এইচএসসি, ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স  এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে মাস্টার্স পাশ করেন। এরপর ২০১৩ সালের মে মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৬ সালে তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। সর্বশেষ গত সোমবার তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। মহিউদ্দীন মাহি’র স্ত্রী সামসাদ নওরীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিস্ট এণ্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

সভাপতি আজিজ, সম্পাদক এন. ইসলাম
মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম পাইকগাছা উপজেলা শাখার কমিটি গঠিত
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম পাইকগাছা উপজেলা শাখার কমিটি গঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে সংগঠণের পাইকগাছা কলেজ মার্কেটস্থ কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সুন্দরবন বার্তা’র সম্পাদক মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, দৈনিক জন্মভূমি প্রতিনিধি গাজী সালাম ও জি,এ গফুর (দৈনিক যশোর) কে উপদেষ্টা এবং মোঃ আব্দুল আজিজ (দৈনিক খুলনাঞ্চল) কে পুনরায় সভাপতি ও এন. ইসলাম সাগর (দৈনিক প্রবর্তন) কে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের উপজেলা কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠণ করা হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি যথাক্রমে এস,এম, আলাউদ্দীন সোহাগ (দৈনিক গ্রামের কাগজ), বি. সরকার (দৈনিক সত্যপাঠ), আলাউদ্দীন রাজা (বাংলাদেশ সময়), তৃপ্তি রঞ্জন সেন (দৈনিক সময়ের খবর), যুগ্ম সম্পাদক কৃষ্ণ রায় (দৈনিক নারীকন্ঠ), কোষাধ্যক্ষ ইমদাদুল হক (দৃষ্টিপাত), সাংগঠনিক সম্পাদক স্নেহেন্দু বিকাশ (দেশ সংযোগ), দপ্তর সম্পাদক প্রমথ রঞ্জন সানা (সাতনদী), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অমল কৃষ্ণ মন্ডল (দৈনিক কালেরচিত্র), সদস্য এম.আর মন্টু (পূর্বাঞ্চল), মোঃ নজরুল ইসলাম (কাফেলা), আব্দুর রাজ্জাক বুলি (সমাজের কাগজ), আবুল হাশেম (দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন) ও এম.এম. আহসানউদ্দীন বাবু (মানবাধিকার সংবাদ)।

পাইকগাছায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের চুড়ান্ত তালিকা ঝুলে গেছে!
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় যাচাই-বাছাইয়ের পর শেষ পর্যন্ত কমিটির দ্বন্দ্বে ঝুলে গেছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা। অভিযোগ উঠেছে, সরকারী সুভিধাভোগী লাল মুক্তিবার্তা, গেজেটভুক্ত ও দাবীদার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় সংযোজন বিয়োযোজন নিয়ে ৭ সদস্যোর বাছাই কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের দ্বন্দ্বে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং সন্দেহ-অবিশ্বাস থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভের মাত্রা বাড়ছে বলে লক্ষ্য করা গেছে। এর পিছনে আর্থিক অনিয়ম, প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ জড়িত থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার সহ লাল মুক্তিবার্তার অনেক মুক্তিযোদ্ধারা পৃথক ভাবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও জেলা প্রসাশক বরাবর অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, সরকারের ঘোষনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় পাইকগাছায় গত ২১, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারীতে অভিযোগের ভিত্তিতে এক তালিকার সুভিধাভোগী গেজেটভুক্ত ৭৩, লাল মুক্তিবার্তার-৩৮ ও দাবীদার ২৬২ জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হলেও এখনো পর্যন্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চুড়ান্ত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম সংযোজন-বিয়োযোজন নিয়ে ৭ সদস্যোর যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ মুজিবুর রহমান ও অন্য সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেওয়ায় এ তালিকা ঝুলে গেছে। সুত্র জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাই শেষে কমিটির সভাপতি মুক্তিবার্তার ১৩, গেজেটের ৫৪ ও দাবীদার ৪ জনের নাম উল্লেখ করে কমিটির সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি তালিকা জমা দিয়েছেন। অন্য দিকে সভাপতির এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষন করে অন্য সদস্যরা নির্বাহী অফিসারের কাছে তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যার কলেবর বৃদ্ধি করে আর একটি পাল্টা তালিকাও জমা দিয়েছেন। এ কারণে চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ নিয়ে অজানা আশঙ্কায় ভুগছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এদিকে চুড়ান্ত তালিকায় অমুক্তিযোদ্ধাদের ঢোকানোর চেষ্টা, ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার ও অর্থ-বাণিজ্যে চেষ্টার অভিযোগ এনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গাজী রুহুল আমিন, ডেপুটি কমান্ডার আঃ মান্নান মিস্ত্রী, বর্তমান রাড়–লী ইউনিয়ন কমান্ডার আঃ সবুরসহ তালিকাভুক্ত অনেক মুক্তিযোদ্ধা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়ে পৃথকভাবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেল জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন। চুড়ান্ত তালিকা নিয়ে মতপার্থক্যের কথা স্বীকার করে কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ মুজিবুর রহমান প্রজ্ঞাপন ও সরকারী নীতিমালা অনুসরণ করে তিনি একটি তালিকা কমিটির সচিব (ইউএনও)’র কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানান। এ প্রসঙ্গে কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য মোঃ মহসীন আলী বলেন, জটিল এ বিষয়টি নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে অহেতুকভাবে সব কিছুতে নৈতিবাচক অভিযোগ বা বক্তব্য দিয়ে এ প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করা ঠিক হবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কমিটি সচিব মোঃ ফকরুল হাসান এ প্রতিনিধিকে বলেন, সময়সীমার ভিতর যত সম্ভব দ্রুত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

Check Also

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।