ডোমারে ঢালাইয়ের সময় দেবে গেছে ব্রীজ

ক্রাইমবার্তা রিপোট:,ডোমার (নীলফামরী) সংবাদদাতা ঃ নীলফামারী জেলার ডোমারে ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনে নির্মাণাধীন একটি ব্রীজের ঢালাইয়ের সময় একাংশ দেবে  গেছে। পরে শাটারিং খুটি সোজা করে এবং নতুন করে খুঁটি লাগিয়ে  ব্রীজটি  তড়িঘড়ি করে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলতাকে ঘিরে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নে।28
জানা যায়, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের অধীনে জেলার ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়াডের্র তেলীপাড়া ও পাটোয়ারী পাড়ার মাঝখানে অবস্থিত কলন্দর নালার উপর ৬০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতুর নির্মান কাজ চলছে। নির্মানাধীন এ সেতুর প্রকল্প নং-০৭/২০১৫-১৬ খ্রিঃ এবং নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে ৫৬,৮৯,১০৬ টাকা। সেতুটির নির্মান কাজ বর্ষা মৌসুমে শেষ হবার সিডিউল থাকলেও যথাসময়ে নির্মান কাজ শুরু না হওয়ায় বর্ষায় পানি বৃদ্ধির কারনে সে সময় নির্মান কাজ বন্ধ রাখা হয়। এক পর্যায়ে বর্ষার সময় সেতুটির বেসলেট এর নিচ দিয়ে গর্তের সৃষ্টি হলে এবং সে গর্ত দিয়ে অবিরাম পানি প্রবাহের ফলে গর্তটি দিন দিন বেড়ে যায়। এ ছাড়া দীর্ঘদিন খোলাভাবে পড়ে থাকায় সেতু নির্মানে ব্যবহৃত লোহায় ব্যাপকভাবে মরিচা পড়ে। মরিচার উপর নুতন করে ঢালাই ও সেতুটির বেসলেট’র এ অবস্থায় এর নির্মান কাজ শুরুর পূর্বে সেতুটির মানসম্মত নির্মাণ ও এর স্থায়ীত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া বিধি অনুযায়ী ইস্পাতের পেল্ট, লোহা, কাঠের খুঁটি দ্বারা শাটারিং করার কথা বলা হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাঠের তক্তা ও বাঁশ দিয়ে শাটারিং করে কাজ শুরু করেন। এরই অংশ হিসাবে সম্প্রতি ব্রীজটি ঢালাই করা হয়। ঢালাইয়ের সময় ডোমার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল আসাদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব), উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাইমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ব্রীজের ঢালাই অর্ধেক শেষ হবার পরে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ব্রীজের মাঝের পাটাতনের শাটারিং খুলে গিয়ে ব্রীজটি দেবে যায়। পরে নির্মানকাজ বন্ধ রেখে ওই অবস্থায় শাটারিং এর খুঁটি কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে ঢালাই শেষ করা হয়। এর ফলে বর্তমানে ব্রীজটি নিচের দিকে বেকে যায়। যা ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে ওই ব্রীজের কারিগর ফকির শাহ শাটারিং খুলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওইভাবে ঠিকঠাক করে পরে ঢালাই দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী সাইদার রহমান ও আলহাজ্ব মনছুর আলীসহ অনেকেই জানান, ঢালাইয়ের সময় ব্রীজের শাটারিং খুলে ব্রীজটি হেলে পড়ে। পরে ওই অবস্থায় কোনমতে খুঁটি সোজা করে ঢালাই শেষ করা হলেও এখনো তা বাঁকা অবস্থায় রয়েছে। তবে ব্রীজের বেসলেটের গর্ত এখনো মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা প্রকল্প বস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাইমিনুল ইসলাম ব্রীজ ঢালাইয়ের সময় শাটারিং খুলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরে খুঁটি সোজা করে ঢালাই দেয়া হয়েছে তবে এতে ব্রীজের কোন ক্ষতি হবে না। এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল আসাদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান, শাটারিং খুলে ব্রীজটি ১ ইঞ্চি পরিমান নিচে দেবে গিয়েছে যা আমরা পরে মেরামত করে ফেলব। এছাড়া প্রকল্পের জন্য প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড টানানো বাধ্যতামুলক থাকলেও আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকল্পের সাইনবোর্ডটি বালু দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

Check Also

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।