ক্রাইমবার্তা বিনোদন ডেস্ক:সিনেমার মাধ্যমে নিজেকে আর দেখাতে চান না এক সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী। এ লক্ষ্যে ২০১৪ সালে করা নিজের একটি ছবি রিলিজ না করার আবেদন জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে। শুক্রবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ আবেদন জানান তিনি। হ্যাপী বলেন, ‘এক সময় আমি না বুঝে গুনাহের কাজে লিপ্ত ছিলাম। নতুন করে আর কোনো গুনাহে জড়াতে চাই না।’ ছবিটির রিলিজ বন্ধে আলেম-ওলামাদের সহযোগিতাও চেয়েছেন হ্যাপী। নিচে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলোÑ
‘শুনলাম আমার পূর্বের করা একটি সিনেমা নাকি আগামী সপ্তাহে রিলিজ হতে যাচ্ছে। যতদূর মনে পড়ে সেটার শ্যুটিং হয়েছিল ২০১৪ সালে। আমার এত পরিমাণ টাকা বা ক্ষমতা নেই এই সিনেমা রিলিজ হওয়া বন্ধ করে দেওয়ার। যদি কারো ক্ষমতা থাকে এই সিনেমাটি বন্ধ করার, তাহলে আল্লাহর জন্যই বন্ধ করে দিন। এর বিনিময়ে অবশ্যই আল্লাহ উত্তম কিছু দিবেন ইনশাআল্লাহ!
এই সিনেমাটি যাদের হাতে, তাদের আমি রিকোয়েস্ট করলেও তারা শুনবে না ব্যবসার জন্য। তবুও করছি, প্লিজ আল্লাহর জন্য এটা বন্ধ করুন। আমাকে সিনেমার মাধ্যমে দেখানোর সুযোগ করে দিবেন না।
হয়তো এই কথাটা তাদের গায়েও লাগবে না। কিন্তু আল্লাহর সামনে বলতে তো পারবো যে, আমার যতটুকু করার বা বলার ছিলÑ সেটা করেছি। জানি না তখন আল্লাহ আমার জন্য কি ফায়সালা করবেন!
আমি আলেম-ওলামাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি তো আপনাদেরই এক বোন। আগে না বুঝে গুনাহর সাগরে হাবুডুবু খেয়েছি। যখন আল্লাহ বোঝালেন, ফিরে এসেছি। একটা সিনেমা বন্ধ করা অসম্ভব কিছুও না। সবাই যদি আল্লাহর জন্য আওয়াজ তোলেন, এটা বন্ধ করা খুব কঠিন কিছু হবে না। আল্লাহর কসম, কলিজা ফেটে যাচ্ছে। আল্লাহর জন্য, শুধু দ্বীনের স্বার্থে এই সিনেমা বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন। বাংলাদেশের আলেমরা এবং সবাই যদি এটা নিয়ে শক্ত অবস্থান নেন, তাহলে এই সিনেমাটা বন্ধ করা কোনো ব্যাপারই হবে না ইনশাআল্লাহ। শুধু একটু এগিয়ে আসা দরকারৃ.’
উল্লেখ্য, একসময় ক্রিকেটার রুবেল হুসাইনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হন নাজনীন আক্তার হ্যাপী। পরে সিনেমা এবং রুবেল বিতর্ক থেকে আড়ালে চলে যান তিনি। বতর্মানে রাজধানীর একটি মহিলা মাদরাসায় ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনে করছেন। গেল বছর একজন আলেমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ।