ক্রাইমবার্তা রিপোট:নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে আটটার দিকে উপজেলার দড়িকান্দি এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ১০ জনের মতো আহত হন।
আহতদের মধ্যে শারমিন আক্তার (১৮) নামে এক নারী রবিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতোলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। দুর্ঘটনায় তার তিন বছরের শিশু সন্তান রাব্বীও গুরুতর আহত হয়ে ঢামেক হাসপতালে ভর্তি হয়। পরে রাব্বীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আসাদগেট কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত আরও চারজন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালে নিহত শারমিন আক্তারের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। তার স্বামীর নাম নূর আলম।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে থাকা ১১ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু, চার নারী ও পাঁচজন পুরুষ রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, হবিগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী অগ্রদূত পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কিশোরগঞ্জগামী ওই মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর পরই বাসের চালক পালিয়ে গেছে। তবে বাসটি আটক করা হয়েছে।