ক্রাইমবার্তা রিপোট: ভারতের শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ কিডনির অস্ত্রপচারের জন্য ফের দিল্লিতে যাচ্ছেন। বর্তমানে তার কিনডির সমস্যা খুবই জটিল হওয়ায় শিলংয়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দিল্লি যাওয়ার অনুমতি চেয়েছেন। আদালত অনুমতি দিলে এ মাসেই দিল্লি যাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
আমাদের সময় ডটকমকে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমি ভীষণ অসুস্থ। বাম পাশের কিডনির সমস্যাটি জটিল হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকরা অস্ত্রপচারের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। আদালতের অনুমতি পেলে শিগগিরই আমি হরিয়ানায় মেদান্তা হাসপাতালে ভর্তি হব। সব আনুষ্ঠানিকতাও করে রাখা হয়েছে।’
চর্ম রোগ ও হার্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপির এই নেতা আরোগ্য লাভের জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন।
গত বছর ১১ মার্চ আদালতের অনুমতি হারিয়ানার মেদান্তা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে তার ঘাড়ে একটি অস্ত্রোপাচারের পর ফের শিলংয়ে ফেরেন সালাহ উদ্দিন। শিলংয়ে উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জটিল রোগে ভূগছিলেন বিএনপির এই নেতা। সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশ মামলায় বিচারাধীন অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।
সালাহ উদ্দিন শিলংয়ের লাবান এলাকায় সানরাইজ গেস্টহাউসে অবস্থান করছেন। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন আহমদ। এর প্রায় দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরার সময় স্থানীয় লোকজনের ফোন পেয়ে টহল পুলিশ তাকে পায়। তারপর আটক হয়ে কিছু দিন কারা হেফাজতে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে পরে তাকে জামিন দেয় আদালত। শিলংয়ের আদালতে এখনোও তার মামলার কার্যক্রম চলছে।
মেঘালয়ে সন্ধান মেলার পর তিনি দাবি করেন, তাকে বাংলাদেশ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য ভারতের আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে, যদিও তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।