ক্রাইমবার্তা রিপোট: ভালো নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,আপনাদের শুভবুদ্ধির উদায় হোক। একটি ভালো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আর সেই নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। কারণ দীর্ঘদিন অনাচার ও অত্যাচার চলতে পারে না। তাই ভালোই ভালোই নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে আসুন।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
‘নবগঠিত নির্বাচন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এ সভায় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি উনা’র দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। এক ব্যক্তির ইচ্ছার রাষ্ট্রপতি কে এম নুরুল হুদাকে সিইসি হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন।
রকিব মার্কা নির্বাচনের চেয়েও খারাপ নির্বাচনের জন্য নুরুল হুদাকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যারা এই সেতুর কাজ পিছিয়ে দিয়েছেন এবং সারা তখন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছেন তাদেরকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলা নাকচ করে কানাডার আদালতের রায় দেয়ার পর নিজের ফেসবুক পেজে এ কথা লেখেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে উদ্দেশ্য রুহুল কবির রিজভী বলেন, অভিযোগ করেছে বিশ্বব্যাংক। এখনও সেই অভিযোগ করছেন। সুতরাং বিষয়টি তাদেরকেই ‘বিশ্বব্যাংক’ বলুন।
সরকারকে দেশকে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে বানিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুর্নীতি হচ্ছে সরকারের ইশতেহার ও আর্দশ। দুর্নীতিই তাদের ধ্যান ও জ্ঞান।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, নির্বাচন কমিশনারের সুতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সুতা টানবেন সিইসি সেই ভাবেই নাচবেন। ফলে তার ‘নুরুল হুদা’ মত আজ্ঞাবহ ও সেবাদাস ব্যক্তির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ’র সভাপতিত্বে এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।