ক্রাইমবার্তা বিনোদন ডেস্ক:‘দ্য উইজার্ড অব অয’ ছবিতে মায়াময় কিশোরী ডরোথির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হলিউডের কিংবদন্তি শিল্পী জুডি গারল্যান্ড। অস্কারের ছয়টি মনোনয়ন পেলেও ছবিটি জেতেনি একটি পুরস্কারও। কিন্তু জুডি জিতে নিয়েছিলেন ভক্ত-দর্শকদের হৃদয়। জিতেছিলেন সবচেয়ে কম বয়সী শিল্পীর একমাত্র অস্কার। কিন্তু জুডির সেই মায়াভরা, হাসিমাখা মুখের পেছনেও লুকিয়ে ছিল ভয়ংকর অন্ধকার। সাবেক ও প্রয়াত স্বামী সিডনি লুফটের লেখা নতুন ও মরণোত্তর আত্মজীবনী ‘জুডি অ্যান্ড আই : মাই লাইফ উইথ জুডি গারল্যান্ড’-এ কিছু বিভীষিকাময় তথ্য পাওয়া যায়।
‘দ্য উইজার্ড অব অয’ নির্মাণের সময় জুডি নাকি কিছু সহশিল্পীর দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন। মাঞ্চকিন চরিত্রগুলোতে অভিনয় করা শিল্পীরা জুডিকে খুব উত্ত্যক্ত করত। লুফট লিখেছেন, ওই লোকগুলোর বয়স ছিল ৪০ কিংবা তার চেয়ে বেশি। আর তাদের উচ্চতা ছিল খুব কম। অথচ জুডির বয়স ছিল মাত্র ১৬। তিনি লিখেছেন, ‘তারা ভেবেছিল, খাটো মানুষ বলে তারা পার পেয়ে যাবে।’ মৃত্যুর দুই বছর আগে জুডি নিজেই এ কথা জানিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেছিলেন ওই লোকগুলো কিছুটা মাতাল ছিল।
শুধু তা-ই নয়, তরুণ বয়সে ক্যারিয়ার গোছাতে কতই না কষ্ট করতে হয়েছে জুডিকে। স্টুডিওর হর্তাকর্তাদের জোর প্ররোচনায় মাদক সেবন করতে হয়েছে তাঁকে। যেন তিনি মুটিয়ে না পড়েন। দৈহিক গড়ন পাতলা রাখতে শুধু মুরগির স্যুপ আর কফি খেতে হয়েছে। তারা জুডিকে এমন মাদক সেবন করানো হতো, যেন তিনি টানা ৭২ ঘণ্টা কাজ করে যেতে পারেন। আর যখন তারা মনে করত, জুডির বিশ্রাম প্রয়োজন, তখন তাঁকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিত। ধীরে ধীরে জুডি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই মাদকই ১৯৬৯ সালে কেড়ে নেয় তাঁর প্রাণ। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭।
পিপল, মিরর
Check Also
অন্তর্বর্তী সরকারকে ডি-স্ট্যাবিলাইজ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ফারুকী
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নানান ইস্যুতে প্রতিবাদের সুরে কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্র-জনতাকে …