একাধিক মামলার আসামী হোসেন নিজের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

ক্রাইমবার্তা রিপোট:লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে একটি মাদক ব্যবসায়ী সিন্টিকেট। এদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। তারা বিগত কয়েক বছর যাবত মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। কখনো প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার কখনো স্থানীয়দের সামনে। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে হত্যা, গুম, মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে বছরের পর বছর রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এদের এমন কর্মকান্ডে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ। লক্ষ্মীপুর পৌর ৭নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন অভিযোগ ও  ১২ মামলা বিবাদী  মো: হোসেন নিজের অপকর্ম দামাচাপা দিতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ১ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন।27
সম্প্রতি স্থানীয়, জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় লক্ষ্মীপুরে মাদক ব্যবসায়ী হোসেনসহ আটক দুই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এনিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মিনা গাজী বাড়ীর মাদক ব্যবসায়ী হোসেনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ওই এলাকায় রমরমা ব্যবসা করছে। তারা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করলে হয়রানিমূলক বিভিন্ন মামলা দিবে বলে হুমকী-ধমকী দিয়ে আসছে এ সিন্ডিকেটটি।
জানা যায়, সদর উপজেলার সমসেরাবাদ গ্রামের মৃত- আব্দুল মুনাফের পুত্র হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগসহ ১২ টি মামলা রয়েছে। হোসেন বিগত আট বছর পূর্বে প্রবাস থেকে দেশে এসে মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে আদালতে ঈজ-১২৫১/১৫ সদর থানায় জিডি নং- ৪৩০/১৫ বাদী কেশব চন্দ্র দাস, ঝউজ-১৩৫/১৬, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা নং-১৮০/১৬, ৩৩১/১৬, ঈজ- ৪৯২/১৬ বাদী ফাতেমা আক্তার, ৩৭৪/১৬ বাদী মমিন উল্যাহ, গত ২০১৪ সালের ১লা নভেম্বর সদর থানায় এমরান হায়দার চৌধুরীর অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১৮ই জুন ১২নং ওয়ার্ডস্থ আবিরনগর গ্রামের আবুল ফয়েজের ছেলে শাহ নেওয়াজ (জুয়েল) পাওনা টাকা ও মটর সাইকেল উদ্ধারের অভিযোগ এনে লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়র বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার নং-২৯৮/১৫। ২০১৫ সালের শাহাদাত হোসেন দোলন বাদী হয়ে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। এছাড়াও হোসেনের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে  একাধিক অভিযোগ রয়েছে । অভিযুক্ত হোসেন প্রভাবশালি ও উৎশৃঙ্খল  হওয়ায় স্থানীয়রা মুখ বুঝে সব সহ্য করে যাচ্ছেন এমনই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

Check Also

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।