অভিযোগ প্রশাসন ম্যানেজ করেই চলছে কাজ হাটহাজারীতে কোটি কোটি টাকার সরকারী সম্পদ প্রভাবশালী ব্যক্তির দখলে

ক্রাইমবার্তা রিপোট:মোঃ আলাউদ্দীন,হাটহাজারী(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃচট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীতে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি কোটি কোটি টাকার সম্পদ দখল করে তাতে দোকান গৃহ নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ অফিসারের কার্যালয় কর্তৃপক্ষ সিভিল সার্জন বরাবরে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগ দিয়েছেন যার নাম্বার, স্মারক নং-উপঃস্বাঃকম/হাট/১৭/৭৮।
11
বর্তমানে হাটহাজারীতে জায়গার মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়াতে ভ’মি দস্যু চক্রের সদস্যরা সদরের আনাচে কানাচে পড়ে থাকা সরকারি সম্পদ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গায়ের জোরে রাতের অন্ধকারে ও প্রকাশ্যে অবৈধভাবে দখল করে নিচ্ছে, আর তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নির্বিকার ভূমিকায় দিনাতিপাত করছে। ফলে সরকারী এই সম্পদ স্থায়ীভাবে অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে ভ’মিদস্যুদের, এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। সূত্রে এবং সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেটের উত্তর পাশের সীমানা প্রাচীরের ভিতরের আরএস দাগ ১৪৩২ এর অধীন বিএস খতিয়ান ১২৭ এবং ১নং বিএস দাগ নাম্বার ১২৪৩ এর ১৬ শতাংশ জমি প্রায় ১১/১২ কোটি টাকার এ সম্পদের কাগজে-পত্রে মালিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ হলেও  শফিউল আলম(শফি) পিতা-মৃত আবুল কাশেম,সাং-আলীপুর,হাটাহাজারী পৌরসভা চট্টগ্রাম কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পদগুলো দখল করে তাতে দোকানগৃহ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দাপটের সাথে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, দখলদার শফি হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমদ শফীর খাদেম। আর এ পরিচয় ব্যবহার করেই তিনি আজ কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। এলাকার সচেতন মানুষ শফির আয়ের উৎস ও সম্পদের হিসাব নিতে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আর কেনই বা সরকারি সম্পদ অবৈধ দখলের চিত্র র্কতৃপক্ষের নজরে পড়ছে না বিজ্ঞ মহলের কাছে তাও বোধগম্য নয়। মনে হচ্ছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে সব কিছ’ । কর্তৃপক্ষ সরকারী সম্পদ দখলকারীর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে চুপ থাকার বিষয়টি এলাকার সচেতন মহলের আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য রাস্তা ব্যতীত আরএস দাগ  ১৪৩২ এর ১৬ শতাংশ ভ’মি সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সের অধিগ্রহনকৃত।

সরকারী সম্পদ দখল করে তাতে অবৈধভাবে দোকানগৃহ নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে দখলদার শফি বলেন, জায়গাটি আমাদের মৌরশী সম্পত্তি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাদের আছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারি কমিশনার(ভ’মি) উনারাই ভাল জানেন বলে মন্তব্য করেন অভিযুক্ত শফি।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পূর্বেই রাস্তাটি তৈরী হয়েছিলো, রাস্তা বাদে হাসপাতালের সম্পত্তির পরিমান ১৬ শতাংশ। সেই হিসাবে দোকানগুলো হাসপাতালের সীমানা দেওয়ালের ভেতরে সরকারি জায়গার মধ্যে তৈরী করা হয়েছে তবে রাস্তার কাগজপত্র সহ প্রয়োজনীয় প্রমান সংগ্রহ করার কাজ চলছে।

এই ব্যাপারে সহকারী কমিশনার(ভ’মি) এবং ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাস্তা বাদে ১৬ শতাংশ ভ’মির মালিক এই দাবীর পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেন নাই। হাসপাতালের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে সরকারী জায়গা দখল করে নির্মান করা দোকানের পেছনে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সময় করা সীমানা প্রাচীর আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন হ্যাঁ হাসপতালের একটি সীমানা দেওয়াল আছে, তার ভেতরেই দোকানগুলো নির্মান করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রাস্তার কাগজটা সংগ্রহ করতে বলেছি।

Check Also

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।