সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অদ্ভুত কয়েকটি সাজ

ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নিজেদের নাক ও কান ছিদ্র করেন পৃথীবির অধিকাংশ নারী। সেসব ছিদ্রে ব্যবহার করা বিভিন্ন অলঙ্কার তাদের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ। তবে কিছু কিছু মানুষ বোধহয় শুধু নাক-কান ছিদ্র করে সন্তুষ্ট হতে পারছিলো না। তাই সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য তারা বেছে নেওয়া শুরু করেন অদ্ভুত সাজ।

দৈনিক আমাদের সময়ের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো বিচিত্র কয়েকটি সাজের তথ্য।

জিহ্বা কর্তন

এই সাজের জন্য জিহ্বার অগ্রভাগ থেকে শুরু করে একেবারে যতটুকু ভেতর পর্যন্ত যাওয়া যায়, ততদূর পর্যন্ত মাঝ বরাবর চিরে ফেলা হয় একজনের জিহ্বাকে। সবার সামনে নিজেদের ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে, আধ্যাত্মিক সাধনার উদ্দেশ্যে, এমনকি সঙ্গী/সঙ্গিনীকে চুম্বনের সময় অনুভূতি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অনেকেই বিচিত্র এ কাজটি করে থাকে।

জন্তুর রুপগ্রহণ

পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা বেশ কয়েকবার সার্জনের ছুরির নিচে গেছেন শুধুমাত্র নিজেদের দেহাবয়বে কিছুটা পরিবর্তন এনে নিজেদেরকে কোনো জন্তুর মতো দেখানোর জন্য! যেমন- আমেরিকায় ‘Stalking Cat’ নামে পরিচিত এক পুরুষ চৌদ্দবার নিজের সার্জারি করিয়েছেন শুধুমাত্র নিজেকে বাঘিনীর মতো দেখানোর জন্য!

আলজিহ্বায় অলংকার

সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কেউ কেউ নিজেদের আলজিহ্বায় পর্যন্ত ছোট ছোট রিং পড়েন। তবে এটা বেশ দুর্লভ।

ডাইনীর মতো কান


এলফিং (Elfing) বা ইয়ার পয়েন্টিং (Ear Pointing) নামে পরিচিত এ প্রথায় একজন ব্যক্তি নিজের কানকে ডাইনীর মতো করে দেখাতে চান। এজন্য কানের উপরের দিককার সামান্য অংশ প্রথমে কেটে ফেলা হয়। এরপর সেই দুটো অংশ এমনভাবে জোড়া দেয়া হয় যেন তা কোনো দিকে নির্দেশ করছে বোঝা যায়।

চামড়া বর্ধিতকরণ


চামড়া বর্ধিতকরণের এ চর্চা শুরুতে দেখা যেত বিভিন্ন আফ্রিকান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্যদের মাঝে। কিন্তু বর্তমানে পাশ্চাত্য দেশগুলোর তরুণ সমাজের মাঝেও এ চলটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত নাক, কান ও ঠোঁটের উপর দিয়েই যায় যত ঝড়ঝাপটা।

শরীরে ব্র্যান্ডিং

কোনো প্রতীক কিংবা কোনো নকশা নিজেদের শরীরে স্থায়ীভাবে ফুটিয়ে তুলতেই এ পদ্ধতির আশ্রয় নিয়ে থাকে কেউ কেউ। এজন্য একজন ব্যক্তি তার শরীরের পছন্দমতো জায়গায় প্রিয় নকশা বা প্রতীকটি আগুনের তাপের সাহায্যে বসিয়ে নেন। ফলে আমরণ তিনি সেই নকশাটি নিয়েই বেঁচে থাকতে পারেন।

চামড়া তুলে ফেলা

কোনো কারণে কোথাও জোরে ঘষা লাগলে আমাদের চামড়া উঠে যায় মাঝেমাঝেই। তবে অনেকের কাছে এটাও শখের বশে নিজের শরীরকে সাজানোর একটি উপায়। এজন্য সাধারণত শিরিষ কাগজ কিংবা কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এভাবেও একজন ব্যক্তি তার শরীরে স্থায়ীভাবে কোনো ছবি বা শব্দের জায়গা করে দেন।

Check Also

‘পাকিস্তান দলে প্রত্যেক ক্রিকেটারই অধিনায়ক’

টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ পণ্ড হয়, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।