নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

ক্রাইমবার্তা রিপোট: আগামীতে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপের প্রস্তাব দেবে বিএনপি।

আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন যদি একটি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে তাহলে কারো পক্ষেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না। সে কারণেই নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য সহায়ক সরকার প্রয়োজন। আমরা এই সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দেবো। এই প্রস্তাব দিয়ে আমরা সরকারকে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য বলবো। আমরা প্রধানমন্ত্রীকেই এই প্রস্তাব দেবো।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভার পর এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

যৌথ সভায় দলের দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব মজিবর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মঞ্জু, শাখাওয়াত হোসেন জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবের রহমান শামীম, শামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৗধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, নুরী আরা সাফা, আবু সাঈদ খান খোকন, আজিজুল বারী হেলাল, কলিমউদ্দিন মিলন, অনিন্দ ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুন্ড, সেলিমুজ্জামান সেলিম, শাহিন শওকত, আকন কুদ্দুসুর রহমান, মোস্তাক মিয়া, আবদুল আউয়াল খান, ওয়ারেস আলী মামুন, খন্দকার মাশুকুর রহমান, হারুনুর রশীদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, অঙ্গসংগঠনের কাজী আবুল বাশার, ইউনুস মৃধা, মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, হাফেজ আবদুল মালেক, সুলতানা আহমেদ, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, হেলেন জেরিন খান, মিলন মেহেদি, আবুল কালাম আজাদ, রাজীব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সিইসির দলীয় অবস্থান, তার ব্যক্তিগত অবস্থান পরিষ্কার। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার মতো যোগ্য মানুষ নন। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে আমরা যাবো কি যাবো না, তা অনেক পরের ব্যাপার। স্থানীয় সরকার নির্বাচন চলমান প্রক্রিয়া। আমরা করছি, এটা আমরা করবো।

পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে কেনো? কারণ বিশ্ব ব্যাংক ওই অভিযোগ নিয়ে এসেছে, বিশ্ব ব্যাংক চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে। একটা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কী চুপ করে বসে থাকা? অবশ্যই আমরা রিঅ্যাক্ট করেছি এবং সেই রিঅ্যাক্ট করেছি কী, আমরা বলেছি যে, দুর্নীতি হচ্ছে। আর দুর্নীতি শুধু পদ্মাসেতুতে হচ্ছে না, সারা বাংলাদেশের দুর্নীতির লহরী বয়ে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে লাগাম ছাড়া দুর্নীতি চলছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে রায় কি হয়েছে না হয়েছে, এটা কানাডার বিচার বিভাগের ব্যাপার, তাদের ব্যাপার। আমরা আমাদের চোখের সামনে দেখছি এখানে কীভাবে দুর্নীতি হচ্ছে? দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক লুট করে নেয়া হচ্ছে, ওভারব্রিজ খেয়ে ফেলা হচ্ছে, স্টক মার্কেট পুরোপুরি নিয়ে নেয়া হচ্ছে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে কি হচ্ছে? কোথায় নেই দুর্নীতি?

২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি
সংবাদ সম্মেলনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস একুশে ফেব্রুারি উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- শহীদ দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলের চেয়ারপারসন নেতাদের নিয়ে পুস্পমাল্য অর্পণ, সকালে দলীয় নেতা-কর্মীসহ আজীমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবর জিয়ারত ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।

Check Also

ট্রাইব্যুনালে আ.লীগ নেতাদের বিচার দেখতে এসে যা বললেন সাঈদী পুত্র

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।