ক্রাইমবার্তা রিপোট:সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, আমরা বিদ্যুৎ চাই তবে সুন্দরবন নষ্ট করে নয়। আমরা সুন্দরবন চাই, কিন্তু অক্ষত সুন্দরবনও চাই।
সুন্দরবন রক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও তার আওতাধীন ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের উদ্যোগে আজ এক সমাবেশ ও র্যালি কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণায় তিনি একথা বলেন।
“সর্বোচ্চ ধ্বংসাত্নক সঙ্কটের মুখে সুন্দরবন! সুন্দরবন রক্ষা করুন, প্রকৃতি বাঁচান, দেশ বাঁচান !” শীর্ষক এসমাবেশ শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেসে সকাল ১১টায় র্যালি শুরু হয়। শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শেষ হয়।
র্যালি উদ্বোধন করে সুলতানা কামাল ঘোষণা পাঠ করতে গিয়ে আরো বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ ভারত বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিততব্য প্রকল্প। এই প্রকল্পটি হচ্ছে সুন্দরবনের জীবনে সব্বোর্চ বিপজ্জনক সঙ্কট। কিন্তু এই দুই দেশের এবং জাতিসঙ্ঘের পরিবেশ সংশ্লিষ্ট সকল আইন, নীতি, ঘোষণাকে উপেক্ষা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান ও আর্থিক হিসাবের বিচারে অনেক ক্ষতির দায় মাথায় নিয়ে, স্থানীয় ও সারদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে বাংলাদেশ সরকার এই বিশাল সাইজের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে তার দৃঢ মনোভাব ব্যক্ত করেছে। তিনি অবিলম্বে এ প্রকল্পের সহকারী পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান। এবং নিরপেক্ষ যথাযথ বিজ্ঞানভিত্তিক, পরিবেশ ও সামাজিক সমীক্ষার সুপারিশ স্বাপেক্ষে তা নিরপদ দুরত্বে সরিয়ে নেয়ার আহবান জানান সরকারের কাছে।
এতে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিনসহ সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলামসহ বিশিষ্টব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাপা, রূপান্তর ও কতিপয় স্থানীয় সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে খুলনায় একটি সুন্দরবন সম্মেলনের সফল আয়োজন করা হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেছিলেন তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ। সে সম্মেলনে গৃহিত প্রস্তাবের ভিত্তিতেই বাপা তার সুন্দরবন বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আর এই দিনটি (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রতি বছরই ঢাকায় ও খুলনাসহ সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারী পর্যায়ে পালিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও ঢাকায় ও সারা দেশে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে।