ক্রাইমবার্তা রিপোট:!জিয়ারুল ইসলামঃ- কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের বেশীনগর গ্রামের হাফিজুল ইসলামের মেয়ে ঈশিতা খাতুন(১২), সে উপজেলার শোন্দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
ঈশিতার বাবা হাফিজুল ইসলাম জানান, দেড় বছর আগে আমার ছেলে মাসুদ মারা যাওয়ার পর মাতা হীন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুরের রাজু আহম্মেদের এতীম ছেলে ছোটনকে(১৯) আমি ছেলের স্থানে বসিয়ে লালন করিতে ছিলাম। এক বছরের মাথায় ছোটন আমার মেয়ের সাথে প্রেমের ফাদে ফেলে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। ছোটন এবং স্থানীয় মাসুদ মেম্বার, তালেপ মোহরী, চাচাতো ভাই চাদ আলী, চাচা ফারুক, দুলাভাই আব্দুর রহমান, ছোটনের ভাই অনিক, আব্দুর রাজ্জাকসহ স্থানীয় লোকেরা একই ১২ বছরের মেয়েকে উপজেলার বেশ কয়েকজন নিকাহ রেজিষ্টার কাজী দিয়ে বিয়ে দেওয়ার অপচেষ্ঠা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে তারা স্থানীয় মৌলভী দিয়ে বিয়ে দেওয়ার অপচেষ্ঠা চালিয়েও ব্যর্থ হলে স্থানীয় তালেপ মৌহরীর পরামর্শে সাদা স্টাম্পে সই করিয়ে মেয়ে বুঝিয়া পেয়েছি মর্মে সাক্ষর করিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা। কিন্তু মেয়েকে তারা আমার হাতে দেয়নি। বরং তারা মেয়েকে এবং ছেলেকে ঐ স্থান থেকে জোর পূর্বক সরিয়ে নেয়। আমি নিরুপায় হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসি এবং মিরপুর থানায় আসিয়া মৌখিক অভিযোগ করি। আমি মামলার ব্যাপারে কিছুই জানি না। কোথায় মামলা করে, মামলা করতে কি লাগে তাও জানি না। তিনি প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেন বিষয়টির বিশেষ তদন্তের মাধ্যমে তার মেয়েকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানায় অফিসার ইন চার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, মেয়ের বাবা হাফিজুলের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিত্বে কালিদাসপুর ্ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ছেলে এবং মেয়ে উভয়কে হাজির করার জন্য বলা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম জানান, ছেলে এবং মেয়ে দুজনেই আমাদের ধরা ছোয়ার বাইরে। তবে তাদের খোজ করা হচ্ছে। পেলেই মেয়েকে এবং ছেলেকে তাদের প্রকৃত অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Check Also
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …