ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :চাকরির মেয়াদ দু’বছর বাকি থাকতেই মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের পরিচালক জোসেফ পি ক্লেন্সি আগামী মাসে অবসরে যাওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ক্লেন্সি এ ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউজে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এটিই হচ্ছে বড় পদ।
সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে ক্লেন্সির অবসরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদটি ত্যাগ করবেন ৪ মার্চ। ক্লেন্সি সিক্রেট সার্ভিসের ফিলাডেলপিয়া ফিল্ড অফিসে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৮৪ সালে।
দুই বছর আগে থেকেই ৭০ বছর বয়সী ক্লেন্সির কাছে প্রাইভেট সেক্টরে যাওয়ার প্রলুব্ধকর প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও তিনি ২৪তম পরিচালক হিসেবে সিক্রেট সার্ভিসের হাল ধরেন। এই সময় এ্যাজেন্সিটি ছিল খুবই সংকটাপন্ন এবং উচ্চ পর্যায়ের কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত। সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরাও নানান কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
মঙ্গলবার সিক্রেট সার্ভিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তিনি খুব দুঃসময়ে সিক্রেট সার্ভিসের নারী ও পুরুষদের সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এজেন্সির ১৫১ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল বলা চলে। তিনি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ন্যাশনাল স্পেশাল সিকিউরিটি ইভেন্টগুলো, বিশেষ করে ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় এজেন্সিকে গতিশীলতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন।’
২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সালে তার প্রথম অবসর নেওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতিরক্ষামূলক বিষয়াদি নিয়ে কাজ করেন। অবসর নেওয়ার পর তিনি নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে ফিলাডেলপিয়ার কমকাস্ট কর্পোরেশনে যোগ দেন।
এরপর ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে বারাক ওবামা তাকে সিক্রেট সার্ভিসে ফিরিয়ে আনেন। এখন তার স্থানে যোগ দিয়েছেন ওয়েস্ট পয়েন্টের সাবেক ক্যাডেট জুলিয়া পিয়ারসন। মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এই প্রথম কোনো নারী প্রধান পেল।
ক্লেন্সির অবসর গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুযোগ পেলেন তার প্রতিরক্ষার জন্য নিজস্ব লোক নিয়োগ দেওয়ার। সিক্রেট সার্ভিস হলো হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের একটি অংশ। এখান থেকেই প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করা হয়। তাদের নিরাপত্তায় সিক্রেট সার্ভিসের ৭ হাজার সদস্য কাজ করে।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে টেলিফোনে রাষ্ট্রীয় গোপন বিষয়ে কথা বলার দায় মাথায় নিয়ে ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের পদত্যাগের একদিন পর সিক্রেট সার্ভিসের পরিচালকের পদত্যাগের ঘোষণা আসলো। তার পদত্যাগের ফলে প্রশাসন চালাতে ট্রাম্প আরো বেশি জটিলতার সম্মুখীণ হবেন বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।