ক্রাইমবার্তা রিপোট:তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘বিএনপিকে জঙ্গিসন্ত্রাসে তা’ দেয়ার যন্ত্র ছেড়ে নির্বাচনে আসতে হবে। দেশের গণতন্ত্রের সামনে দু’টি চ্যালেঞ্জ, একটি জঙ্গি ও জঙ্গিসঙ্গী বর্জন ও অপরটি যথাসময়ে নির্বাচন। জনগণ ও সরকার দু’টিই বাস্তবায়ন করবে।
আজ বুধবার সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘বাঙালীর জাতিরাষ্ট্র গঠনে স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের ভূমিকা ও কাজী আরেফ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কাজী আরেফ আহম্মদের ১৮তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ কাজী আরেফ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ সভায় সংস্থার সভাপতি কাজী মাসুদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ’৭৫ সাল থেকে দেশে নেমে আসা অন্ধকারের মধ্যে সামরিকতন্ত্র ধারকেরা গর্তে লুকিয়ে থাকা রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের তুলে এনে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদের জন্ম দেয়। আর বিএনপি সেই জঙ্গিসন্ত্রাসে তা’ দিয়ে লালন-পালন করেছে। একারণেই এখনও পর্যন্ত আমাদের জঙ্গিদমনে লড়াই করতে হচ্ছে। নাহলে বহু আগেই জঙ্গিরা নির্মূল হতো, শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতো।’
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান কাজী আরেফকে একজন আপোসহীন জাতীয় বীর বর্ণনা করে তার অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অসাম্প্রদায়িকতার পতাকাতলে সবাইকে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এদেশের মেহনতী মানুষ জঙ্গি সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত উপড়ে ফেলবে।’
এদিকে বাংলা ভাষার পঞ্চকবির অন্যতম কবি, গীতিকার, সুরকার ও লেখক রজনীকান্ত সেনের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় সবাইকে রাজাকার থেকে দূরে থেকে বাংলাদেশের পথে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট মিলনায়তনে বুধবার দুপুরে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সুরধুনী’ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত বিচারপতি এবাদুল হক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান এবং নূরজাহান বোসের হাতে প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী এসময় সুরধুনী সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। সবাইকে সাথে নিয়ে সুরধুনী প্রকাশিত কবি রজনীকান্ত সেনের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী স্মরণিকার মোড়কও উন্মোচন করেন তিনি।
কবি রজনীকান্ত সেনের মহান সাহিত্যকর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ইনু বলেন, ‘কান্তকবি মানুষকে মানুষের পরিচয়ে গর্বিত করেছেন। আর জঙ্গিরা মনুষ্যত্ব এবং সংস্কৃতিকে পায়ে দলে ধর্মের টুপি পরে বিবদমান। তাই জঙ্গি-রাজাকার পরিহার করে বাংলাদেশকে তার নিজস্ব পথে এগিয়ে নিতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পথ আউল-বাউলের পথ, রবীন্দ্র-নজরুলের পথ, হাসন রাজা-লালনের পথ, রজনীকান্ত-দ্বিজেন্দ্র লাল-অতুলের পথ, শহীদ সালাম-বরকত-রফিকের পথ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথ।’
সুরধুনী’র সভাপতি এ কে এম হাসান জামালের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. খালেদা বেগম সভায় কবি রজনীকান্ত সেনের জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করেন। বিপুল সংখ্যক সংস্কৃতিসেবী ও ঢাকা মহিলা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে সুরধুনীর শিল্পীরা।