৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় নিমৃত শ্বশানের মন্দির মাটির নীচে চাপা জনমনে ক্ষোভ

ক্রাইমবার্তা রিপোট:কাজী লিয়াকত হোসেন,তালাঃ তালা উপজেলায় কুমিরা সাধুপাড়া(মধ্যপাড়া)পাটকেলঘাটা এসিল্যান্ড অফিস(ভূমি অফিসের) পিছনে, কপোতাক্ষ নদীর পূর্বপাশ্বে অবস্থিত, ৯লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় নিমৃত হিন্দু ধর্মবলম্বলীদের শ্বশান ও চিতা মাটির নীচে চাপা পড়ে আছে । এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে । তালা-পাটকেলঘাটা কুমিরা ইউনিয়নের মৃত মনিন্দ্র নাথ ভট্রাচার্জ এর পুত্র অসিত কুমার ভট্রাচার্জ জানান,27 গত ১শত বৎসর পূর্বে মৃত শীতল হোড় তার ব্যক্তি মালিকাধীন ৫৭ শতক জমি শ্বশানের নামে দান করেন । তার পর হতে এলাকার সকল হিন্দু ধর্মবলম্বলীদের অন্তষ্টক্রীয়া এই শ্বাশানে সম্পন্ন করা হয় । শ্বশানটিকে আধুনিকায়ন করার নিমিত্তে নিজ উদ্দেগে ব্যক্তিগত তহবিল হতে ৯লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে সুন্দর একটি মন্দির ও চিতা তৈরী করা হয় । কিন্ত কপোতাক্ষ নদীর ভরাট হওয়ার কারনে নদী খননের প্রক্কালে উক্ত নদীর প্রকৃত গতিপথ পরিবর্তন করে শ্বশানের মন্দির ও চিতা এমনকি মন্দিরের চুড়াটি পর্যন্ত ভেংগে ফেলানো হয় । বার বার অনুরোধ করার সত্বেও কাহারোও কোন কথা আমলে নেয়নি নদী খনন কতৃপক্ষ ।
অসিত কুমার ভট্রাচার্জ আরও জানান গত ১১ ফেব্রুয়ারী ১৭ তারিখে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় কুমিরা রাধা মনি গ্রস্থনালয় উদ্বোধন করতে আসেন । শ্বশানের বিষয়টি তাকে জানানো হলে,  তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার ভুমিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন । এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ লিটন আলী সরজমিনে পরিদর্শন করতঃ সার্ভেয়ারকে সীমানা নির্ধারনের জন্য আদেশ দেন ।
এ ব্যাপারে মন্দির কমিটি তথা সাধারন জনগনের দাবি উক্ত শ্বশানটি পুণউদ্ধার করতঃ হিন্দু ধর্মবলম্বলীদের সুষ্টভাবে অন্তষ্টক্রীয়া সম্পন্ন করতে পারে তার জোর দাবী জানান ।

 

চার দিন নিঁখোজ থাকার পর নিজ ইচ্ছায় বাড়ী ফেরত
আকবর হোসেন,তালা ঃ তালায় আনন্দ সরকার (৪৫) নামের এক ব্যক্তি ৬দিন নিখোঁজ থাকার পরে নিজ ইচ্ছায় ১৫ ফেব্রƒয়ারী বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে নিজ বাড়ীতে ফেরত আসে ।  সে উপজেলার তালা সদর ইউনিয়নের জেয়ালা গ্রামের মৃতঃ রসোময় সরকারের পুত্র আনন্দ সরকার । গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকালে বাড়ি হতে খুলনার উদ্দেশ্যে গমন করেছিল । বর্তমানে তিনি তালা থানায় আটক আছেন ।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, মৃতঃ রসোময় সরকারের পুত্র আনন্দ সরকার গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮টার দিকে আটারই গ্রামের মৃতঃ সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের পুত্র ঘের ব্যবসায়ী সৈয়দ সোহেল রানার খুলনার বাসায় ঘের সংক্রান্ত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য বাড়ি হতে খুলনার উদ্দেশ্যে বের হয়। অদ্যাবধি তার কোন খবর পাওয়া যাচ্ছিল না । তার কোন সন্ধান না পেয়ে ঘটনার পরদিন শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) আনন্দ সরকারের স্ত্রী সুমিত্রা সরকার বাদী হয়ে তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। যার নম্বর ৩২৭/১৭ইং। ইতি মধ্যে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার নিখোজ সংবাদ প্রতাশিত  হয় । পরিশেষে নিজ ইচ্ছায় ৬দিন পর তিনি বাড়ীতে ফেরত আসেন এবং বলেন আমি পাইকগাছাতে ছিলাম ।
এ বিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান বলেন,মুল রহস্য উৎঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত অব্যহত রয়েছে ।

Check Also

সাতক্ষীরায় লটারীতে টিকে থাকা ৭১ শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগের দাবিতে অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলন  

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ভর্তির লটারীতে টিকে থাকার পরও শুধুমাত্র বয়সের অজুহাতে সাতক্ষীরা সরকারি বালক ও বালিকা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।