ক্রাইমবার্তা রিপোট:ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধার সনদ পাইয়ে দিতে গিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সনদ না পেয়ে ঘুষের ওই টাকা ফেরত পেতে ওই ব্যক্তি আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে সিরাজুল ইসলামকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ পাইয়ে দিতে তাঁর কাছ থেকে কিছু কাগজপত্র ও নগদ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দেউলি গ্রামের মো. আতিয়ার রহমান মিয়া। সিরাজুল ইসলাম শেখর ইউনিয়নের ভুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। আতিয়ার কাগজপত্র ও টাকা গ্রহণের পর সনদ দিতে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা করতে থাকেন।
এরপর সিরাজুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য অনলাইনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) আবেদন করেন। গত ২১ জানুয়ারি থেকে বোয়ালমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির তত্ত্বাবধানে আবেদনকারীদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সাক্ষাতকার গ্রহণ শুরু হয়। অনলাইনে আবেদনকারীদের তিনজন পরিচিত সহযোদ্ধা (বীর মুক্তিযোদ্ধা) সাক্ষীসহ সাক্ষাৎকার বোর্ডে হাজির হওয়ার কথা। সিরাজুল ইসলাম আতিয়ার রহমানকে তাঁর পক্ষে সাক্ষী দিতে বললে তিনি (আতিয়ার) পুনরায় ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রুপাপাত ইউনিয়ন কমান্ড ইউনিটের আহ্বায়ক মো. আতিয়ার রহমান মিয়া দাবি করেন, ‘কাজী সিরাজুল ইসলাম শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা আর আমি রুপাপাত ইউনিয়নের কমান্ডার। তাই এ ধরনের টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমি মনে করি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রওশন আরা পলি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সনদ পাইয়ে দিতে টাকা গ্রহণের একটি লিখিত অভিযোগ আমি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’