ক্রাইমবার্তা রিপোট: নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীর প্রতিবাদে মিথ্যা তদন্ত বিহীন তথ্য ও প্রযুক্তি আইন মামলার জরিত করায় উহা হইতে তদন্তের সহিত অব্যহতি পাওয়ার আবেদন জানান মোসাঃ মাহেনুর বেগম (২৮) পিতা মৃত মজনু তাং, স্বামী- আরিফ হোসেন, সাং শুক্তাগড়, উপজেলা – রাজাপুর, জেলা- ঝালকাঠি। তিনি এক লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন যে, আমার স্বামী আরিফ হোসেন, পিতা- আঃ আউয়াল ওরফে চুন্নু মাতুব্বর, সাং জগাইরয়াট, থানা-রাজাপুর, জেলাঃ ঝালকাঠী এর সহিত ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক গত ২৭/-৭/২০১৬ইং তারিখে রেজিঃ কৃত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমার সহিত আরিফ হোসেন এর দীর্ঘ ৫ বছর যাবত ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। বিবাহের পর আমার স্বামী আমাকে নিয়া ৪মাস ঘর সংসার করলে এর মধ্যেই ২/৩ বার আমার সাথে মারামারি ও যৌতুক দ্বাবি করে আসছে। বিবাহের পর আমি তাকে আমার জমাকৃত ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দিয়াছিলাম। কিন্তু তিনি কোন কাজকর্ম না করে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের সাথে জরিত ছিল। মাদক ব্যবসা ও সেবন বন্ধ করতে আমি তাকে নিষেধ করলে তিনি আমাকে মারপিট করতো এবং বলতো অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক টাকার মালিক হয়ে যাবে। এ ব্যপারে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য সহ প্রশাসনের সাথে ও বিষয়টি অবগত করি। এলাকার মাদক নিয়ন্ত্রন করার উদ্যেশ্যে গত ১১/০৬/২০১৬ইং তারিখে ইউনিয়ন পরিষদের মিটিং নং- ৬৪ এ একটি রেজুলেশন তৈরি করে এলাকার দাগী মাদক ব্যাবসায়ীদের নাম প্রকাশ করা হয়। উহার মধ্যে আরিফ হোসেন বিখ্যাত মাদক ব্যাবসায়ী হিসাবে উল্লেখ্য রয়েছে।
গত ৩০/১১/২০১৬ইং তারিখে আমার স্বামী আমাকে মাদক সেবন করে মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং আমার কাছ থেকে আরো টাকা দাবী করে। পরক্ষনে আমি রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন থেকে একটি অভিযোগ দাখিল করি যাহার নং জি.আর ১৭৭/২০১৬ রাজা, অভিযোগ পত্র নং- ০৭, তাং ৩০/০১/২০১৭ইং। আমার ঐ মামলার স্বাক্ষী সহ আমার স্বামীর গ্রামের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গন্যমান্য ব্যক্তি এবং আমার শশুর পক্ষের সাথে দীর্ঘ কাল ধরে শত্রুতা ছিল তাকে ও জরিয়ে মোকাম ঝালকাঠি মানব পাচার অপরাদ দমন ট্রাইবুনাল আদাল হতে ফৌজদারী মিস পিটিশন নং ১৮/২০১৭ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন/২০০৬ সংশোধীত ২০১৩ এর ৫৭ (২) ও ৬৬ (২) ধারায় একটি আদেশ নামায় রাজাপুর থানায় নির্দেশদেয় তদন্তের সহিত অভিযোগ প্রমানীত হলে এফ.আই.আর নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
*** কিন্তু দায়রা জজ আদালত ঝালকাঠির সেরেস্তা হতে যে আদেশ নামা মিস পিটিশন নং ১৮/২০১৭এর আনা হয় ্উহাতে উল্লেখ্য রয়েছে যে বাদীর অভিযোগ টি তদন্ত পূর্বক ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে এফ.আই.আর রুজুক্রমে তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজাপুর থানাকে নির্দেশ দেওয়া গেল। যাহার স্মারক নং ৩২৮, তাং ০৫/০২/১৭ইং
নালিশি মামলাটি গত ০১/০২/২০১৭ইং তারিখে আদালতে দাখিল করেন। এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে আমার নারী শিশু নির্যাতন মামলা নং জি.আর ১৭৭/২০১৬ রাজা কে নিস্পত্তি করার উদেশ্যে আমার মামলায় স্বাক্ষী ও স্থানীয় গন্যমান্য প্রতিনিধিকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালায়। আরো প্রকাশ থাকে যে গত ০৫/০১/২০১৭ইং তারিখে জিডি নং ৬৪২ রাজাপুর থানায় মিস পিটিশন নং- ১৮/২০১৭ইং এর অভিযোগের ২নং আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে হাহা আদালত থেকে খারিজ হয়ে যায়। বাদীপক্ষ বিজ্ঞ জজ সাহেবের সহি-স্বাক্ষরীত জালিয়াতি করিয়া কাগজটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দাখিল করে।
** কিন্তু পুলিশ সুপারের কর্যালয়ের সিলযুক্ত একাটি একইরুপ আদালতের আদেশ নামায় অনুলিপিতে লেখা বাদীর অভিযোগটি ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৬ (৩) ধার মোতাবেক এফ.আই.আর রুজুক্রমে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজাপুর থানাকে নির্দেশ দেওয়া গেল।
অর্থাৎ আদালতের থেকে প্রকৃত আদেশ নামায় যাহা উল্লেখ্য তাহা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের আদেশ নামায় নেই।
এমতাবস্থায় আমার মামলা জি.আর ১৭৭/২০১৬ রাজা এর আসামী আমার স্বামী আরিফ হোসেন ও তার ভাই রফিকুল ইসলাম আমাকে সহ আমার মামলার স্বাক্ষীদের প্রকাশ্যে প্রান নাশের ও মিথ্যা মামলায় জরিত করবে বলে হুমকি দিয়ে থাকেন এবং আরো বলেন আমার দ্বায়েরকৃত মামলাটি ১ মাসের মধ্যে তুলিয়া আনতে হবে।
Check Also
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …