ক্রাইমবার্তা রিপোট: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে স্কুলছাত্রী রিপনা খাতুনকে (১৩) মুখে কীটনাশক ঢেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিপনা নামে ওই শিক্ষার্থী মারা যায়।
প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নাজমুল নামের এক যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
রিপনা খাতুন উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের রিপন হোসেনের মেয়ে ও আসাননগর-কুল্লাগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
বখাটে নাজমুল শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে।
রিপনার দাদা শুকুর আলী জানান, কোটচাঁদপুর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন (১৮) তার ছেলের মেয়ে রিমা ওরফে রিপনাকে প্রেমের প্রস্তাবে উত্ত্যক্ত করতো। এ ঘটনায় তিনি এবং রিপনার বাবা আসাননগর-কুল্লাগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছেও দুইবার অভিযোগ দিয়েছে। বুধবার রাতেও রিপনাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নাজমুল প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি ও রাতে রিপনা তার পরিবারকে জানায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে নাজমুলের পরিবারের সঙ্গে রিপনার পরিবারের বিবাদ শুরু হয়। এই সুযোগে রিপনা ঘরে একা থাকায় নাজমুল ও তার এক সহযোগী রিপনাকে ধরে মুখে কীটনাশক ঢেলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, প্রথমে রিপনাকে উদ্ধার করে কোটচাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার ভোরে সে চিকিৎসাধী অবস্থায় মারা যায়।
রিপনার বাবা রিপন হোসেন জানান, কোটচাঁদপুর হাসপতালে রিপনা চিকিৎসকের সামনে জানায়, নাজমুল তার মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়েছে। তিনি তার মেয়ে হত্যার বিচার চান।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সাহা জানান, বৃহস্পতিবার রিমাকে নামজুল তার মুখে কীটনাশক ঢেলে হত্যার চেষ্টা করে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার ভোরে যশোরে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিষয়ে রিপনার বাবা থানায় মৌখিক অভিযোগ দিলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা নাজমুলের খালা রেশমাসহ দু’জনকে আটক করি। এ ঘটনায় কোটচাঁদপুর থানায় ৫ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে।