ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি ঃ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাণীশংকৈলে শহীদ মিনার পরিচর্যা আর শহীদ মিনারের অসমাপ্ত কাজ গুলো সেরে নেওয়া হচ্ছে। দিবসটির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে চলছে শেষ প্রস্তুতির কাজ।
উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার প্রতিবাদে পাক শাসকের এক রোখা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি সহ সকল স্তরের মানুষ। বাঙালীর আত্মতৃপ্তি বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষায় মর্যাদার দাবিতে গড়ে তোলা হয় অপ্রতিরোদ্ধ আন্দোলন। এক পর্যায়ে তুমুল লড়াইয়ের মাধ্যমে বাঙালী জাতি স্বপ্নের পায়রা অর্জন করে। বিনিময়ে সালাম, রফিক, সফিক, বরকত, জাব্বারের মতো লাখে লাখো তাজা প্রাণ শহীদ হন। সম্ভ্রমহানি হয় অনেক মা-বোনের। তাতে ভাষার লড়াইয়ে বাঙালী তার আত্মতৃপ্তির ভাষা অর্জন করেছে। বিনিময়ে বাঙালী জাতি আজ মায়ের ভাষাকে বিশ্বের দরবারে অ, আ, ক, খ, বর্ণমালার গাঁথুনিতে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। বাংলা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা পেয়েছে ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। বিনিময়ে ২১ ফেব্রুয়ারীকে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতি পালন করা হয়ে থাকে। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য শহীদ মিনার চত্বর চাক চিক্য পরিচর্যার কাজ সেরে নিচ্ছেন। মার্বেল পাথর বসিয়ে শহীদ মিনার আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২১ ফেব্রুয়ারী রাত ১২.০১ টা থেকে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ জমায়েত হয় এই শহীদ মিনার চত্বরে। পুরো শহীদ মিনার ফুলে ফুলে রাঙিয়ে তোলা হবে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে। মহান শহীদ দিবস পালনকে কেন্দ্র করে দ্রুত সেরে নেওয়া হচ্ছে সকল কর্মসূচী।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান বলেন, বাঙালীর প্রাণের ভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ভাষা আন্দোলনে সালাম, রফিক, সফিক, বরকত, জব্বার সহ লাখো শহীদ প্রাণকে জাতি ২১ ফেব্রুয়ারী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সেরে নেওয়া হচ্ছে।