ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার বিচারের রায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগাম মন্তব্য বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করার সামিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
শনিবার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই অভিযোগ করে বলেন, জার্মানিতে আওয়ামী লীগের একটি দলীয় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন যা আজকে দেশের সকল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সকল গণমাধ্যম ও পত্র-পত্রিকায় এসেছে। তাতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যদি দেশনেত্রী চোর হয়ে থাকেন, তাহলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এতে বোঝা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করেন, তাহলেই তো খালেদা জিয়াকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।
আর যদি স্বাধীন বিচার বিভাগ ও নিরপেক্ষ বিচারক হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই বেগম খালেদা জিয়া আইনজীবীর মাধ্যমে যেসব বক্তব্য তুলে ধরেছেন, সেই বক্তব্যে প্রমাণিত হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অর্থলুটের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই। কিন্তু রায়ের আগেই দলীয় ফোরামে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি এরকম বক্তব্য দেন, সেটা কী সঠিক হলো?
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উদ্যোগে ‘নির্বাচন কমিশন, সহায়ক সরকার ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন’-এর দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
আগামী সংসদ নির্বাচন সহায়ক নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবি জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নুরুল হুদার অধীনে আগামী যে সংসদ নির্বাচন হবে, তা সুষ্ঠু হতে পারে না। দেশনেত্রী বেগম জিয়া শিগগিরই সহায়ক সরকারের প্রস্তাব জাতির কাছে উপস্থাপন করবেন। সরকারকে বলব, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করুন।
সংগঠনের সভাপতি আমীর হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে দেশনেত্রী ফেরামের জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, ন্যাপ গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, কল্যাণ পার্টির সাহিদুর রহমান তামান্না, এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, এম সাইদুর রহমান, ফরিদউদ্দিন ফরিদ, জিএস সুমন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।