ক্রাইমবার্তা রিপোট:তোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু,ডোমার (নীলফামারী) সংবাদদাতা ঃ নীলফামারী জেলার ডোমারে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টাকারীকে এলাকাবাসী আটক করার পর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইনের আওতায় না এনে রাতব্যাপী নানা নাটকীয়তা শেষে তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার উপজেলার মৌজা বামুনিয়া গ্রামে। এলাকাবাসী জানায়, ওই এলাকার আবুল কাশেম দারিদ্রতার কারনে জীবিকার তাগিদে স্ত্রী, নাবালক ২ ছেলে ও ২ মেয়েকে বাড়ীতে রেখে রাজধানী ঢাকায় রিক্সা চালাতে যান। বর্তমানে তিনি রিক্সা চালানোর জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ সুযোগে প্রতিবেশী নাজির উদ্দিনের ছেলে এক সন্তানের জনক লাবলু (২৪) শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) গভীর রাতে আবুল কাশেমের মেয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ছাত্রীটির আর্তচিৎকারে তার বড় ভাই সহ এলাকাবাসী এগিয়ে এসে লাবলুকে আটক করে। খবর পেয়ে বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান বুলেট রাতেই দুজন গ্রাম পুলিশ দিয়ে লাবলুকে তাদের পাহারায় বেঁধে রাখে। এরপরেই রাতব্যাপী চলে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের শালিশ বৈঠকের নামে নানা কসরত। এক পর্যায়ে শনিবার দুপুরে ওই ইউপি চেয়ারম্যান নির্যাতিতার বাড়ীতে হাজির হয়ে লাবলুকে ছেড়ে দেয়। এ সময় নির্যাতিতার পরিবার ও এলাকাবাসী প্রতিবাদ করায় তিনি তাতে কোন কর্ণপাত না করে তাকে ছেড়ে দিয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এ ব্যাপারে নির্যাতিতার মা জানান, আমার স্বামী বাড়ীতে নেই। এ সুযোগে লাবলু আমাদের সর্বনাশ করল, অথচ আমরা এর কোন বিচার পেলাম না। আমার স্বামী বাড়ীতে আসলে বিহিত করার কথা বলে বেশী কিছু বলতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। এ ব্যাপারে বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান বুলেট জানান, ‘ছেড়ে দিয়েছি তাতে কি হয়েছে?’এ ব্যাপারে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হারেসুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই।
Check Also
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …