ক্রাইমবার্তা রিপোট:শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগর উপজেলার ০৫ নং কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান , প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব শেখ আবু দাউদের পুত্র শেখ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলার বিরুদ্ধে কৈখালীর হাজারও নারী পুরুষের উপস্থিতি এক মানব বন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা বলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম যখন ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তোলার শপথ নেন এবং তারি ধারাবাহিকতায় কৈখালী ইউনিয়নে ২৫ কিঃমিঃ বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্যোগ গ্রহণ করেন, ঠিক তখনি বিগত চেয়ারম্যান জি,এম, রেজাউল করিম আক্রোশের বসে , নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য পদে পদে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের উন্নয়ন কার্যক্রম বন্দের জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।বক্তরা আরো বলেন-জয়াখালী গ্রামের মান্দার গাজীর পুত্র , অর্থলোভী, অবৈধ্য বালু উত্তোলনকারী , ভূমিদস্যু , সরকারী গাছ কর্তনকারী মোঃ আব্দুল মজিদ প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে একজন স্বার্থনেষী , ক্ষমতা লোভীর কু-পরামর্শে তার পুত্রকে আতœগোপন করে,কৈখালীর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম , ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ০৮ জনের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। যার নং – ২২ , ধারা -৩৬৪/১০৯/৩৪। যার ফলে কৈখালীর হাজার হাজার নারী পুরুষ সম্মিলিত ভাবে মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। উক্ত মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু পবিত্র কুমার মন্ডল ,ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সরদার ,মামলার বাদীর ভাই আঃ হামিদ,মোঃ নূরুল ইসলাম সরদার ,মোঃ আমিনুর রহমান ,মোহাম্মাদ আলী ,মোঃ ফজলুল হক ,অসিম কুমার , সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা মোছাঃ সাহিদা বেগম , মোছাঃ মাজিদা বেগম , মোছাঃ মর্জিনা বেগম , ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ শাহিন আলম , কাউন্সিলর আবু বক্কার সিদ্দীক , ০৩ নং ওয়ার্ড আওয়ালীগ ও আই,পি, এম ক্লাবের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান ,১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী মোঃ ফজলুল হক গাজী, ইউ,পি সদস্যসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ মামলা হতে চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমসহ সকল আসামীদের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে অব্যহতি দিতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ইউনিয়নবাসী।
শ্যামনগরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন
শ্যামনগর ব্যুরোঃ শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা জি এম নুরুল হক কোন ইউনিট কমান্ডার, ডাঃ মাহফুজুর রহমান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জামায়াতের সাবেক এম পি গাজী নজরুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। মুক্তিযোদ্ধা জি এম নুরুল হক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেজে স্থানীয় অনেক লোকের কাছ থেকে ১৫/২০ হাজার টাকা নিয়ে অবৈধভাবে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর প্রতিশ্রƒতিতে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে। যার কারনে গত ১৮ তারিখে শ্যামনগরে প্রকাশ্যে লোকজন জি এম নুরুল হককে মারপিট করলে কয়েক জনের টাকা ফেরত দিলেও অধিকাংশ লোকের টাকা ফেরত দেননি। নুরুল হকের পক্ষের একটি অপ শক্তি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারাফ হোসেন মশু বিপুল ভোটে নির্বাচিত কমান্ডার হওয়া শর্তেও তাকে নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল,ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানসহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ। এ সময় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন- মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান।