ক্রাইমবার্তা বিনোদন ডেস্ক:বিউটি সার্কাস এ ভিন্নরূপে জয়া আহসান আসলেই, এমন জয়াকে কখনও কোথাও দেখেননি কেউ। অথচ বরাবরই তিনি নাটক সিনেমায় নিজেকে পাল্টেছেন পালাক্রমে, গেল দেড়যুগ ধরে। তবুও তার রূপ ফুরাচ্ছে কই! বরং বারংবার নিজেকে পাল্টে দিচ্ছেন দুই বাংলার নানা চরিত্রের ভেতরে ঢুকে। এবারও হচ্ছে তাই। একেবারে নতুন রূপেই ধরা দিচ্ছেন সার্কাসের বিউটি সেজে। যার কয়েকটি ঝলক মিলেছে নওগাঁ সাপাহার উপজেলার সার্কাস প্যান্ডেল থেকে। সেখানে টানা ১৫ দিনের শুটিং শেষ করে চলতি সপ্তাহে ঢাকা ফিরেছে পুরো টিম।
বিউটি সার্কাস এ ভিন্নরূপে জয়া আহসান ছবির পরিচালক ঢাকায় ফিরেই পৌঁছালেন শুটিংয়ের কিছু স্থিরচিত্র। যেগুলোতে জয়াকে দেখলে যে কারও চোখ ছানাবড়া হতে বাধ্য। অসফুট স্বরে যে কেউ বলবেন, এখনও জয়া এমন করে নিজেকে ভাঙতে কিংবা মেলতে পারেন কেমন করে!
জয়ার ভাষায় এর জবাব ভাবলেসহীন। ‘দেখুন আমি বরাবরই চরিত্রটাকে ভালোবাসি। যদি কাজটা করি তো চরিত্রটার ভেতরে পুরো ডুবে যাই। আমি তখন আসল আমাকে বেমালুম ভুলে যাই। ‘
বিউটি সার্কাস এ ভিন্নরূপে জয়া আহসান এদিকে নওগাঁর শুটিং ছবিগুলো দিতে দিতে পরিচালক মাহমুদ দিদার বলেন, ‘সবমিলিয়ে ভালো এগিয়েছি আমরা। অপেক্ষা আরও ২০ দিনের শুটিং। এরমধ্যে আসছে মাসে পাঁচদিন বৃষ্টির শুট। ১০ দিনের ল্যান্ডস্কেপ এবং আরও ৫দিন অন্যান্য। তারপর শেষ হবে হয় তো। এবং আমরা পুরো ইউনিট এখনও বেশ খুশি। কারণ কাজটা ভালোই হচ্ছে। ‘ ছবিটির গল্প এমন, সার্কাসের মালিক ও প্রধান ম্যাজিশিয়ান বিউটি। যার রূপ আর জাদু প্রদর্শনীর কারিশমায় পাগল এলাকার তিন প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিউটিকে নিজের করে পাবার প্রতিযোগিতায় এক সময় হুমকির মুখে পড়ে যায় পুরো সার্কাস টিম। কিন্তু কৌশলী বিউটি নিজ বুদ্ধির জোরে শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠেন সেই বিপদ।
বিউটি সার্কাস-এ ভিন্নরূপে জয়া আহসান ও হুমায়ূন সাধু আর এই বিউটি রূপেই দেখা মিলবে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে।
ছবিটি প্রসঙ্গে নাম ভূমিকায় অভিনয় করা জয়া আহসান বলেন, দেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হচ্ছে সার্কাস। একটা সময় পরিবার নিয়ে সার্কাস দেখতে যাওয়ার প্রচলন ছিল গ্রাম বাংলায়। কিন্তু নানা কারণে গতি হারিয়েছে সেই ঐতিহ্যটি। আর তাই সীমান্ত এলাকার এক নারীর জীবিকার তাগিদে নিজ কর্মক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার মধ্য দিয়ে সার্কাস সংস্কৃতির সুদিন ফেরানোর একটা চেষ্টা চালানো হবে এই ছবিটির মাধ্যমে।
বিউটি সার্কাস ছবির তরুণ নির্মাতা মাহামুদ দিদার বলেন, আমার জীবনের অনেক বড় কাজ এটি। তাই কোনও দিকে না তাকিয়ে শুধুই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। গ্রাম-বাংলার চিরায়ত মেলা ও সার্কাসের আদলে আমরা সেট নির্মাণ করেছি। ঐতিহ্যকে ধারণ করে গল্পের প্রয়োজনে সার্কাসের ক্ষেত্রটিকে একটু ফ্যান্টাসাইজ করেছি। মূলত অর্থ সংকট ও শীতের এই শেষ সময়টার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়েই আমাদের নির্মাণের কাজ শুরু হতে দেরি হয়েছে।
বিউটি সার্কাস এ ভিন্নরূপে জয়া আহসান তিনি আরও বলেন, সার্কাসকে কেন্দ্র করে একজন নারীর যে টিকে থাকা তার গল্প বিউটি সার্কাস। সার্কাস পুড়িয়ে দেয়ার পরও গণমানুষের পক্ষ নিয়ে হুমকির মুখেও একজন নারীর আপন শক্তিতে টিকে থাকার গল্প ফুটে উঠবে চলচ্চিত্রটিতে। এখানে পুরুষের ভূমিকাকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুইভাবেই উপস্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রচলিত চলচ্চিত্রের ছক থেকে বেরিয়ে সমাজের নানা শ্রেণীর মোড়ল ও ক্ষমতাধরদের আসল চরিত্র দেখা যাবে এই সিনেমার নায়কদের মাধ্যমে।