ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘বুমবুম’ খ্যাত শদীহ আফ্রিদি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। শারজায় গত শনিবার টি ২০ ক্রিকেট থেকেও বিদায়ের ঘোষণা দেন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার।
ঘোষণার আগে পিএসএলে করাচি কিংসের বিপক্ষে পেশোয়ার জালমির হয়ে ২৮ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আফ্রিদি। যদিও শেষ পর্যন্ত তার দল হেরে গেছে ৯ রানে।
২১ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টেনে ৩৬ বছর বয়সী আফ্রিদি বলেন, আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি। আমি আমার ভক্তদের জন্য খেলে যাব, আরো দুই বছর পিএসএলে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর না।
তিনি বলেন, এখন আমার ফাউন্ডেশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটিতে সময় দিতে হচ্ছে।
সব সময় দেশের জন্য পেশাদারী বজায় রেখে খেলেছেন বলেও জানান তিনি।
আফ্রিদি ২০১০ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন। আর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পরই ওয়ানডে থেকে অবসর নেন। তবে টি ২০ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নেতৃত্বও দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
ভারতের মাটিতে ওই আসরে পাকিস্তানের ব্যর্থতার জেরে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হন আফ্রিদি। এরপর বিগত এক বছরে পাকিস্তান দলের নিয়মিত সদস্য হিসেবেও তিনি আর ডাক পাননি।
আফ্রিদি ২০১৬ সালের মার্চে মোহালিতে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি ২০ খেলেছেন। তবে তিনি এই মারকুটে ফরমেটে বিশ্বজুড়েই বিজ্ঞাপন হয়ে বেড়িয়েছেন।
এর মধ্যে ন্যাটওয়েস্ট টি ২০ ব্লাস্টে হ্যামশায়ারের হয়ে, পাকিস্তানের জাতীয় লীগে ইসলামাবাদের, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে রংপুর রাইডার্সের এবং পিএসএলে পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলছেন।
স্পিনে সম্ভবত তিনিই সবচেয়ে গতির বোলার।
১৯৯৬ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ভক্তদের হৃদয়ে আসন করে নেন আফ্রিদি। অবশ্য তার এ রেকর্ড ১৮ বছর পরে ভেঙে দেন নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন মাত্র ৩৬ বলে, ২০১৪ সালে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ৩১ বলে শতক করে রেকর্ডটি একান্তই নিজের করে নেন, ২০১৫ সালে।
ক্যারিয়ারে মাত্র ২৭টি টেস্ট খেলেছেন আফ্রিদি, এক হাজার ১৭৬ রানের সঙ্গে রয়েছে ৪৮টি উইকেট। সর্বোচ্চ রান করেছেন ১৫৬।
৩৯৮ ওয়ানডেতে তার রান ৮ হাজার ৬৪, উইকেট ৩৯৫। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১২৪। আর টি ২০ খেলেছেন ৯৮টি। রান করেছেন এক হাজার ৪০৫ রান, উইকেট ৯৭টি।