ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :এবার পাকিস্তানের খায়বার পাখতুনখোয়া প্রদেশে চারসাড্ডা জেলার একটি আদালতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় আইনজীবীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িত তিন বন্দুকধারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে।
চারসাড্ডার পুলিশ কর্মকর্তা ফায়াজ খান বলেন, জামাত-উল-আহরার নামে একটি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেছে।
পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গাফুল টুইটারে বলেন, ‘চারসাড্ডার ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন সেনাপ্রধান। প্রথম স্তরের পুলিশ অনেক মানুষের জীবন রক্ষা করেছে।’
প্রাদেশিক সরকারের সূত্র জানিয়েছে, এক আইনজীবীসহ তিন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১৫ জন।
জানা গেছে, মূল ফটক দিয়ে অন্তত তিন হামলাকারী ভেতরে ঢোকার টেষ্টা করে। হামলা, গুলি করে এবং গ্রেনেড হামলা চালায়। কিছুক্ষণ পরই পাল্টা গুলি করে পুলিশ। ফটকে একজন, আদালতের ভেতরে দ্বিতীয়জন এবং তৃতীয়জন বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নিহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত তিন হামলাকারীর দেহ রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে। তাদের সঙ্গে বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহবাজ বলেন, বোমা হামলাকারীরা বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় তিনি আদালতের ভেতরে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি দৌড়ে ক্যান্টিনের দিকে চলে যাই এবং দেয়াল টপকে জীবন রক্ষা করি। আসার সময় অনেককে মৃত পড়ে থাকতে দেখি।’
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
এর আগে গত বছর মার্চ মাসে চারসাড্ডার শবকদর এলাকায় একই সংগঠনের হামলায় ১৭ জন নিহত হয়। এ ছাড়া একই বছর জানুয়ারিতে বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ২১ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা।
গত ১০ দিনে সিন্ধু, বেলুচিস্তান, খায়বার পাখতুনখোয়া ও পাঞ্জাবে সন্ত্রাসী হামলায় শতাধিক প্রাণহানি হয়েছে।
সর্বশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সিন্ধু প্রদেশের জামশেরা জেলার লাল শাহবাজ কালান্দারের মাজারে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।