ক্রাইমবার্তা রিপোট:গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী ও অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। সেইসাথে দলটি বলছে, সরকার রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সকলক্ষেত্রে করের বোঝা বৃদ্ধির অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে। এই সিদ্ধান্ত জনগণ মানবে না জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বল্গাহীনভাবে রাজস্ব আদায় করতেই সরকার গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধির কারণে অল্পসময়ের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম আবারো বাড়ানো হতে পারে বলে- আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটায় গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কোনো কর্মসূচি দেয়া হবে কি-না? সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া কানাডার আদালতের রায়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলা যাবে।
লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, গ্যাসের মুল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, নৈতিকতাবিহীন এবং এতে দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ চাপে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের নানা সময়ে বৃদ্ধি করা গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের কিছু ঘনিষ্ঠ চিহ্নিত ব্যবসায়ীকে অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ করে দিতেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আয়োজন করা হয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষ নিষ্পেষণের শিকার হবে।
তিনি দাবি করেন, এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মানতে গিয়ে একদিকে গ্যাসখাতে উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের ওপর বর্ধিত দামের বোঝা চাপ পড়ছে। আসলে সরকার রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সবক্ষেত্রে করের বোঝা বৃদ্ধির অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে। বলা হচ্ছে-উচ্চমূল্যে গ্যাসের আমদানির কারণে গ্যাস সরবরাহ ব্যয় আগামীতে বাড়বে। তবে এজন্য গ্যাসের আগাম দামবৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, গণশুনানিতে দামবৃদ্ধির বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য হলেও উচ্চমূল্যে আগামী এলএমজি আমদানির অজুহাতে সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এর পেছনে এলপিইজি আমদানির করা হচ্ছে কারণ। বাস্তবে এলপিইজির দাম হ্রাস পেয়েছে।
মির্জা ফখরুল লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, সরকারের আনুকূল্যতুষ্ট ব্যবসায়ীদের এলপিইজি আমদানির সুযোগ করে দিতেই একটি লাইসেন্সরাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে সরকার। এর ফলে প্রতিযোগিতাহীন বাজারে কিছু মুখ চেনা ব্যক্তি অনার্জিত মুনাফা গুনবে। জনগণ শোষণের যাতাকলে নিষ্পেষিত হবে।