ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচ শুরুর আগে এক ভিডিও বার্তায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ভিডিওর শেষ দিকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন, ‘আশা করি আমরা ম্যাচটা জিততে পারব।’ সাকিব নিজের সেই প্রত্যাশাটা মাঠেই অনুবাদ করে দেখালেন। ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার অতিগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পেশোয়ার জালমিকে এনে দিয়েছেন ১৭ রানের দারুণ এক জয়। পেশোয়ারের ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে লাহোর কালান্ডার্স ৯ উইকেটে করতে পেরেছে ১৪৯ রান।
প্রথমে ব্যাট হাতে সাকিব এক ছক্কা ও দুই চারে ২৪ বলে করেন ৩০ রান। আগের তিন ম্যাচে তেমন কিছু করতে না পারা সাকিবের ব্যাটে বড় ইনিংসের ইঙ্গিতই মিলছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে যান। তবে সেই আফসোস মিটিয়েছেন বল হাতে। বোলিং করতে এসে নিজের প্রথম ওভারেই কোনো রান না দিয়ে তুলে নেন দুই উইকেট। ফিরিয়ে দেন আগের ম্যাচেই লাহোরের জয়ের দুই নায়ক উমর আকমল (১) ও গ্র্যান্ট ইলিয়টকে (১)। দুজনকেই এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। তিনি মাত্র দুই ওভারই বোলিং করেছেন। কে জানে, বাকি দুটি ওভার করতে পারলে হয়তো উইকেট প্রাপ্তির সংখ্যাটা আরও বাড়তেও পারত।
সাকিবের আগে পরে দুই উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ হাফিজও। তাতে ৪৩ রানেই লাহোর হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। পেশোয়ারের জয় মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় তখনই! যদিও উইকেট পতনের মিছিল ঠেকাতে হঠাৎই ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেন আমের ইয়ামিন ও সুনিল নারাইন। দর্শকদের বিনোদনের উৎস হয়ে সপ্তম উইকেটে দুজনে গড়েন ৪৫ রানের জুটি। সেটিও মাত্র ৫ ওভারে। নারাইনকে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ বানিয়ে এই জুটি ভাঙেন ওয়াহাব রিয়াজ। একটু পর আমেরকে ফেরান পেশোয়ার জালমির অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। শেষ দিকে সোহেল তানভীরের ২ ছক্কা ২ চারে ২৯ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংসটি লাহোরের পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে।
এর আগে পেশোয়ারকে ১৬৬ রানে পুঁজি এনে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন কামরান আকমল। আকমল ভাইদের বড়জন ৪০ বলে করেন ৫৮ রান। বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল আরও একবার ব্যর্থ। তিনি আউট হন মাত্র ৫ রান করে। এছাড়া পেশোয়ারের পক্ষে মোহাম্মদ হাফিজ ১৩, মারলন স্যামুয়েলস ১৭, শহীদ আফ্রিদি ৬ বলে ১০ ও অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ৮ বলে করেছেন অপরাজিত ১৭ রান।
দারুণ এই জয়ে ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পেশোয়ার জালমি উঠে গেছে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ফলে আফ্রিদির মালিকানাধীন দলটির কোয়ালিফাই করার স্বপ্নটা জিঁইয়ে থাকলো ভালো মতোই। শনিবার কুয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে জিতলেই নিশ্চিত হবে সাকিব-তামিমদের কোয়ালিফাইংয়ে খেলা।-পরিবর্তন