ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে ছয় মাস আগে থেকেই স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে দেয়া মামলা দুই বছরের জন্য স্থগিত করার দাবি জানান।
বিকল্পধারার কুড়িল বিশ্বরোডে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ শুক্রবার ‘ভাষা শহীদদের স্বপ্ন ও গণতন্ত্রের পথে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
বি. চৌধুরী বলেন, সরকারের কাছে আমার অনুরোধ এবং দাবি, আপনারা বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে দেয়া যেসব মামলা আট বছরেও ফয়সালা করতে পারেন নাই, সেগুলো নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে অবিলম্বে আগামী দুই বছরের জন্য স্থগিত করুন। দুই বছর পরে প্রয়োজন হলে মামলাগুলো সচল করুন, যদি সেগুলো যুক্তিযুক্ত থাকে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ছয় মাস আগে থেকেই স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের কাছে একশ’ ভাগ ন্যাস্ত করুন, যাতে তারা একটি ন্যায়সংগত নিরপেক্ষতার আবহের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারে।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য প্রয়োজন সব দলের অংশগ্রহণ এবং ক্ষমতাশীনদের অন্যায় ও বল প্রয়োগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত একটি নির্বাচনী পরিবেশ।
বি. চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রশ্নে বাংলাদেশের ছাত্র, যুবক ও সাধারণ মানুষ গড়ে তোলে ২১ ফেব্রুয়ারির আন্দোলন। সেই ভাষা ও গণতন্ত্রের আন্দোলনের পথ বেয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র আজ অবহেলিত ও উপেক্ষিত। এই উপেক্ষিত গণতন্ত্রকে পুন:প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। সুতরাং আজকের গণতন্ত্রের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ভাষা আন্দোলনের অবদান থাকবে অপরিসীম। সেখান থেকে আমরা প্রেরণা গ্রহণ করবো এবং সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা সত্যিকারের দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে পারি।
বিকল্প যুবধারার সভাপতি ওবায়েদুর রহমান মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট শাহ আহম্মেদ বাদল, আবদুর রউফ মান্নান, মাহবুব আলী, ওয়াসিমুল ইসলাম, মঞ্জুর রাশেদ, যুবধারার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদ আলী চৌধুরী পারভেজ, যুবধারার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অসাদুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।