ক্রাইমবার্তা রিপোট:এ সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি এলে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর নির্বাচন হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর এফডিসি অডিটোরিয়ামে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, মরহুম আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নান ভুইয়ার মধ্যে সংলাপ হয়েছিল কিন্তু ফল হয়নি। পরবর্তীতেও অনেক সংলাপ হয়েছে তার ফলও সুখকর ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা দুই দিনের মধ্যে সংলাপের আহবান জানিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পরের দিনই টেলিফোন করে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা আসেননি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কারো জন্য বসে থাকবে না, নির্বাচন হবেই। ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন টিকেনি। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন টিকেছে। এটি কেবল দেশে নয়, বিদেশেও টিকেছে।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি বা ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন চাই না। এ ধরনের নির্বাচনের বিভেদ ও বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা চাই আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে সব দলের অংশগ্রহণে আবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। মানুষ যাতে সে নির্বাচনে অত্যন্ত উৎসবমূখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়ন একসাথে চলা জরুরি। গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে শুধু উন্নয়ন আবার কেবল গণতন্ত্রের ধোয়া তুলে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। এমন পেক্ষাপটে দেশে এখন রাজনৈতিক সমঝোতা ও আলোচনা দরকার। আর সেই সমঝোতা তৈরির জন্য প্রয়োজন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ফলপ্রসু সংলাপ হওয়া উচিত।
প্রতিযোগিতায় সরকারি দল বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি বিরোধী দল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে জয়লাভ করে। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।