ক্রাইমবার্তা রিপোট:সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা (বহিষ্কৃত) বদরুল আলমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস। রবিবার দুপুর ১২টায় সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে খাদিজার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। আদালত আগামী ১ মার্চ মামলার যুক্তিতর্কের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।
আদালতের সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খাদিজা আদালতে সাক্ষ্য প্রদানকালে হামলার বিস্তারিত বর্ণনা করেন। এ সময় খাদিজা বলেন, ৩ অক্টোবর পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে আসার সময় বদরুল জোর করে এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায় । এ সময় বদরুল সঙ্গে থাকা চাপাতি দিয়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান তিনি। মাটিতে পড়ে যাওয়ার সময় আরও একটি কোপ দিলে তিনি হাত দিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন।
এর আগে রবিবার সকাল পৌঁনে ১১টায় বাবা মাসুক মিয়া ও ফুফু আখতারুন্নেছাসহ আরও কয়েকজন নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে আদালত প্রাঙ্গনে পৌঁছান খাদিজা।
এর আগেও খাদিজাকে সাক্ষী দেওয়ার জন্য আদালতে তলব করা হলেও চিকিৎসকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির হামলার শিকার হন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস। বদরুল আলম শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা। এরপর বর্বর হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে খাদিজাকে সিলেটের ওসমানী হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পুনর্বাসনের জন্য সাভারের সিআরপিতে পাঠানো হয় খাদিজাকে। প্রায় ৫ মাস চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিলে শুক্রবার সিলেটের গ্রামের বাড়ি ফিরেন খাদিজা।
এদিকে, ২৯ নভেম্বর এই মামলার একমাত্র আসামি বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে ৮ নভেম্বর শাহপরাণ থানার এসআই হারুনুর রশিদ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরবর্তীতে ১৫ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ৫ অক্টোবর বদরুলকে আদালতে হাজির করা হলে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।