ক্রাইমবার্তা বিনোদন ডেস্ক: কি কারণে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বলিউড বাদশাহ শাহরুক খান ও পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান অভিনীত ‘রইস’ সিনেমাটিকে তা নিয়ে মুখ খুলেছে পাকিস্তান সেন্সর বোর্ডের ফিল্ম সার্টিফিকেশন কেন্দ্রীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান মোবাশ্বের হাসান।
পাকিস্তানের ‘রইস’মুক্তি পাওয়া নিয়ে ইসলামাবাদের কোর্টে দুইদিন ধরে শুনানি চলার পর তিনি পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের একটি প্রতিবেদককে সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে বেশ কিছু তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভারতীয় সেন্সর বোর্ড পাকিস্তানের ইসলাম ধর্মকে সন্ত্রাসবাদ চিহ্নিত করে তাদের ‘রইস’ সিনেমাটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। যা কখনোই সেন্সর বোর্ড পাকিস্তানে মুক্তি দেয়ার অনুমতি দেবে না।
তিনি আরো জানান, ‘রইস’ সিনেমাটি নিয়ে অনেক আশাবাদী ছিলাম আমরা। তবে সিনেমাটি মুক্তির মাধ্যমে কোনো আশাই পূরণ হয়নি। ‘রইস’র মুক্তির সময় আমাকে ভারতের গোল্ড সিনেমা কমপ্লেক্সে সিনেমাটি দেখতে আমন্ত্রণ করেছিলেন ভারতীয় সেন্সর বোর্ড কর্মকর্তারা। সেখানের একজন সরকারি কর্মকর্তা আমাকে স্বাগতও জানিয়েছিলেন।
সিনেমাটিতে তাদের ইসলাম ধর্মকে সন্ত্রাসবাদের প্রতিকী করে ফুটিয়ে তুলে অবমাননা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। মূলত লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে একটি স্কুল ছাত্রের সন্ত্রাসবাদে জড়িত হওয়া নিয়েই ‘রইস’ সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে।
মোবাশ্বের আরো জানান, সিনেমাটিতে অভিনেতা শাহরুখ খান পাকিস্তানের একজন ইসলাম ধর্মালম্বী সন্ত্রাসীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যা কখনো পাকিস্তানে গ্রহণযোগ্য নয়। সিনেমাটিতে মুসলিমরা তাদের ধর্মে উল্লেখিত হারাম মদ্য বেঁচা কেনা করছে। এর মাধ্যমেও পাকিস্তানের ধর্মের অবমাননা করে তাদের উপর খারাপ দৃষ্টি স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি সিনেমাটির একটি নেতিবাচক উক্তির কথা গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছিলেন। শাহরুখ খান উক্তিটিতে বলেছিলেন ‘ধান্দেসে বারা কোহি ধার্ম নেহি হোতা’ (ব্যবসার উপর কোনো ধর্ম নেই)। এটি তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানান তিনি।
গত ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল রাহুল ঢোলাকিয়া পরিচালিত শাহরুক খান ও পাকিস্তানী অভিনেত্রী মাহিরা খান অভিনীত ‘রইস’ সিনেমাটি। মুক্তি পেয়েই হৃতিক রওশনের অভিনীত ‘কাবিল’ সিনেমাটিকে পেছনে ফেলে বলিউড বক্স অফিসে ব্যাপক হিট করেছে সিনেমাটি। কিন্তু পাকিস্তানে সিনেমাটির মুক্তি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে বক্স অফিস। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, সম্পাদনা: এম রবিউল্লাহ