ক্রাইমবার্তা রিপোট:গাজীপুর সংবাদদাতা, ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হলে গমের ফলন ২৫ থেকে ৩০শতাংশ কমে যেতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা অভিমত প্রকাশ করেছেন। এমনকি রোগটি মহামারী আকারে দেখা দিলে শতভাগ ফলন নষ্ট হতে পারে।
সোমবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)-তে এ রোগের উপর বাংলাদেশ উদ্ভিদ রোগবিজ্ঞান সমিতির আয়োজিত এক কর্মশালায় বিজ্ঞানীরা ওই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
সমিতির সভাপতি ও ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. ইসমাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বারি’র মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারি’র দিনাজপুরের গম গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পরিতোষ কুমার মালাকার।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ড. আবুল কালাম আযাদ বলেন, গত বছর বাংলাদেশে প্রথম গমে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে এবং তা দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছর ১৫হাজার হেক্টর জমির গম ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়, যা মোট আবাদী গমের ১৫শতাংশ। ১৯৮৫ সালে সর্বপ্রথম ব্রাজিলে দেখা যায় পরবর্তিতে তা দক্ষিন আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
ঊারির উদ্ভিদরোতত্ব বিভাগের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ইকবাল ফারুক জানান, এ রোগ দমনের জন্য প্রতি ৫ শতাংশ জমিতে ৬ (ছয়) গ্রাম নাটিভো ৭৫ ডব্লিউ জি অথবা নভিটা ৭৫ ডব্লিউ জি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভালভাবে ¯েপ্র করতে হবে। ¯েপ্র করলে গমের পাতা ঝলসানো রোগ, বীজের কালো দাগ রোগ এবং মরিচা রোগ ইত্যাদিও দমন হবে।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল মনসুরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠাণের বিজ্ঞানী ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।