ক্রাইমবার্তা রিপোট:জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, পরিবহন ড্রাইভারদের অবহেলার কারণে প্রতিদিন অগণিত মানুষ নিহত হচ্ছে। তারা কথায় কথায় পরিবহন ধর্মঘট করে জনগণকে জিম্মি করে ফেলে। সরকারকে তা দমন করতে হবে। তাদের আন্দোলনের হুমকিতে ভীত হলে চলবে না। দেশবাসী শান্তিতে নেই।
দুই চালকের সাজার রায়ের পর পরিবহন ধর্মঘটে জনভোগান্তির চিত্র তুলে ধরে তিনি সরকারকে এ ব্যাপারে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে খুলনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে বিভিন্ন দল থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর দলে যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচএম এরশাদ এ আহ্বান জানান।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়ের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে জাপা কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, এসএম ফয়সল চিশতি, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, রেজাউল ইসলাম ভ’ইয়া, মুশফিকুর রহমান, এমএ রাজ্জাক খান, জাহিদ বিপ্লব, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, আসমা আশরাফ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সাবেক সেনা শাসক এরশাদ বলেন, আমি ক্ষমতায় থাকার সময় পরিবহন ড্রাইভারের অবহেলার কারণে কোনো মানুষের মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করেছিলাম। সে আইন রাখতে পারেনি। বর্তমান আইনে রয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তাও বহাল রাখা যাবে কি না সন্দেহ। আইনটি বাস্তবায়ন করতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনা ও দুর্ঘটনায় মৃত্যের সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
যোগদানকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে এরশাদ বলেন, আমার মনে অনিশ্চয়তা ছিল। এখন আলো দেখতে পাচ্ছি। যেভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগদান চলছে, তাতে আমি বিশ্বাস করি, আমরাই আগামীতে সরকার গঠন করতে পারব।
তিনি বলেন, খুলনা এক সময় অবহেলার একটা শহর ছিলো। সেটাকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, মংলা পোর্ট, সাতক্ষীরা-খুলনা রোডসহ উন্নয়ন বলতে যা বুঝায় তা আমার শাসনামলেই হয়েছে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরাই জাতীয় পার্টির প্রাণ। মানুষের কাছে তোমরাই জাতীয় পার্টিকে নিয়ে যাবে। মানুষ শান্তি চায়, নিরাপত্তা চায়, পরিবর্তন চায়। এদেশকে আবার উন্নয়নের জোয়ারে ভাসাতে হলে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে জাতীয় পার্টিকে অবশ্যই আবার ক্ষমতায় যেতে হবে।