ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:শেষ ওভারে দরকার ৭ রান। হাতে চার উইকেট। স্পিনার মোহাম্মদ নুয়াজের তিন বল পরে জয়ের সমীকরণ- তিন বলে ২, হাতে ৪ উইকেট।
সেখান থেকেই তোলগোলের শুরু। শেষ তিন বলে ৩ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে পেশোয়ার জালমি এই ম্যাচ হেরে গেছে মাত্র এক রানে।
এই জয়ে শহিদ আফ্রিদিদের কাঁদিয়ে পাকিস্তান সুপার লীগের ফাইনালে ওঠে গেছে সরফরাজ-পিটারসেনদের কোয়েটা গ্লাডিয়েটরস।
মঙ্গলবার রাতে শারজায় টস হেরে কোয়েটা ৭ উইকেট হারিয়ে ২০০ রানের পাহাড় গড়ে। দলের পক্ষে ওপেনার আহমেদ শেহজাদ মাত্র ৩৮ বলে ৭ চার ৪ ছক্কায় ৭১ রান করেন।
এছাড়া কেভিন পিটারসেন ২২ বলে দুই বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৪০ এবং আনোয়ার আলী ১০ বলে ২০ রান করে করেন। পেশোয়ারের পক্ষে ৪০ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে সেরা পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।
২০১ রানের জয়ের লক্ষে পেশোয়ারের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। দলীয় এক রানে জুলফিকার বাবরের বলে পিটারসেনের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন কামরান আকমল। আর তিন রানে মারলন স্যামুয়েলস রানআউট হলে ফাইনালের স্বপ্ন ফিকে হতে থাকে পেশোয়ারের।
সেখান থেকেই ডেউড মালানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ হাফিজ। দু’জনের এই জুটিতে আসে ১৩৯ রান। কিন্তু সেটি দলকে জেতানোর মতো যথেষ্ট নয়।
হাফিজ ৪৭ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৭ এবং মালান ৩০ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৫৬ রান করে বিদায় নেন, দলীয় ১৫৭ রানের মধ্যে।
এরপর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন হারিস সোহাইল। কিন্তু এরপরও ক্রিজে যতক্ষণ শহিদ আফ্রিদি ছিলেন, জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপারমাত্র।
মাত্র ১৩ বলে চারটি ছক্কা ও একটি চারে ৩৪ রানের ইনিংসে আফ্রিদি পেশোয়ারের জয়কে সহজ করে বিদায় নেন দলীয় ১৯৩ রানে।
১৯তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক ড্যারেন সামি এক রান নিলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৭ রান, হাতে চার উইকেট।
স্পিনার মোহাম্মদ নুয়াজের প্রথম তিন বলে ৫ রান নেন সামি। কিন্তু পরের তিন বলে ফিরে যান ক্রিস জর্ডান, ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলী। এর মধ্যে শেষের দুই উইকেট বোকার মতো রানআউটে।
এতেই ফাইনালে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স, যে দলে এবারের আসরে খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে শ্রীলংকা সফরে আছেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন আহমেদ শেহজাদ।