হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে এক বেদুঈন (গ্রাম্য লোক) আগমন করে বলল, (হে আল্লাহর নবী!) আমাকে এমন একটি কাজের দিকে পথ প্রদর্শন করুন, যা করলে আমি বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন
১. আল্লাহর ইবাদাত করবে এবং তার সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না।
২. ফরজ নামাজসমূহ যথাযথভাবে আদায় করবে।
৩. নির্ধারিত জাকাত প্রদান করবে এবং
৪.রমজানের রোজা রাখবে।
অতঃপর বেদুঈন লোকটি বলল, সে সত্তার শপথ যার হাতে আমার জীবন! আমি এর বেশি কিছু করবো না এবং কমও করবো না।
এরপর লোকটি যখন প্রস্থান করলো, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি কোনো জান্নাতি লোক দেখে খুশি হতে চায়; সে যেন এ লোকটিকে দেখে নেয়ে। [বুখারি ও মুসলিম]
এ হাদিসের আগন্তুক বেদুঈন লোকটি ছিলো আরবের কায়েস গোত্রের সরদার ইবনুল মুতলাফিক। আবার কেউ কেউ বলেন, এ ব্যক্তিটি ছিলেনÑ লাকিত ইবনে সাবুরা। যিনি বনি মুতলাফিকের সরদার ছিলেন এবং সপ্তম হিজরিতে জান্নাত লাভের উপায় সম্পর্কে বিশ্বনবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন।
ইসলামি শরিয়তের বিধানে কম-বেশি করার অধিকার কারো নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলামের শরিয়তের ক্ষেত্রে যে বর্ণনা বা বিধি-নিষেধ করেছেন, তার থেকে কোনো কিছুই বাড়ানো এবং কমানো যাবে না। যারা এ বিধানের হুবহু পালন করবে তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়াতেই বেহেশতের সুসংবাদ। হাদিসে বিশ্বনবী সা. এ বিষয়টিই তুলে ধরলেন।
উল্লেখ্য, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ব্যক্তিকে জান্নাত লাভে ইসলামি শরিয়তের প্রধান পাঁচটি মূলনীতির মধ্য থেকে চারটি কথা বলেছিলেন। শুধুমাত্র হজের কথা উল্লেখ করেননি। কারণ লোকটি এসেছিল সপ্তম হিজরিতে মতান্তরে ৫ম হিজরিতে। আর হজ ফরজ হয়েছিল নবম হিজরিতে।