ক্রাইমবার্তা রিপোট:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ৭ ঘন্টায় বন্দুকযুদ্ধ ও গণপিটুনিতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, সৃষ্ট এসব ঘটনায় যারা মারা পড়ছে তারা নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
জেলার বিজয়নগর ও নবীনগরে ঘটনাগুলো ঘটে। গতকাল বুধবার রাত ৮টা থেকে রাত ৩টার মধ্যে এসব ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এসআইসহ ৫ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ দাবি করেছে, জেলার বিজয়নগরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী ও এক ডাকাত নিহত হয়েছে। নিহতরা হল আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার বুলবুল মিয়া ওরফে বুইল্লা এবং নুরুল ইসলাম। বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় ঢাকা-সিলেট মাহাসড়কের গভীর রাতে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের ঘটনা ঘটে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আরশাদ জানান, এ উপজেলার খেতাবাড়ি এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বুলবুল ডাকাত নিহত হয়। এছাড়া মেরাসানী গ্রামের বাজারের উত্তর পাশে বন্দুকযুদ্ধে মো: নুরুল ইসলাম নিহত হয়। সে একজন মাদক ব্যবাসায়ী। তার বিরুদ্ধে ৫টি মাদকের মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, এসময় পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সাথে অন্তত অর্ধশত রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তবে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্তদের ধরা সম্ভব হয়নি।
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মো: মফিজউদ্দিন ভুইয়া বলেন, তাদের ৫জন সদস্য আহত হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাইপগান, ছোড়া ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আরশাদ জানান, দু’পক্ষের ঘটনায় অন্তত ৫০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।
এদিকে, বুধবার রাত ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের জগন্নাথপুরে ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত হয়েছে। তারা হচ্ছে নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের আব্দুল হক ও তার সহযোগী কাজুলিয়া গ্রামের ইয়াছিন।
নবীনগর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, উপজেলার জগন্নাথপুরের সাবেক মেম্বার সেন্টু মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি করতে গেলে লোকজনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয় এবং দু’জন ডাকাতদের ধরে ফেলে, অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় জনতার গণপিটুনিতে ২ডাকাত গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে নবীনগর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, আব্দুল হকের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকসহ ৯টি মামলা রয়েছে।