ক্রাইমবার্তা রিপোট:সারাদেশে শিক্ষদের চাকরি সক্রান্ত জটিলতা দূরীকরণে দ্রুত সমাধানের লক্ষে শিক্ষা অধিদপ্তরে চালু হচ্ছে অনলাইন সফটওয়্যার নথি। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ। নথি চালু হলে ঘুষ দুর্নীতিসহ হয়রানি বন্ধ হবে বলে মনে করছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
সারাদেশে প্রায় ৩০ লাখ এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক রয়েছে। এছাড়া এমপিও ছাড়া শিক্ষক রয়েছে কয়েক লাখ। প্রতিনিয়তই চাকরি সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে শিক্ষকদের শিক্ষা অফিসগুলোতে আসতে হয়। এতে অপচয় হয় সময়, পড়তে হয় সীমাহীন ভোগান্তিতে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফাইল ছাড়ার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি ফাইল আসার পর তা ৭ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার কথা। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার বলেন, এক সাথে অনেক ফাইল আসায় এ সময়ের মধ্যে কাজ করা যায় না।
এই সঙ্কট নিরসনে সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ইÑফাইলিং কার্যক্রম। নথি নামের এই সফটওয়্যারে সারাদেশ থেকে ফাইল জমা দেবেন শিক্ষা কর্মকর্তারা। সব জটিলতার জন্য সফটওয়্যারে রয়েছে আলাদা ক্যাটাগরি। ফাইলের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন তখন সহজেই মনিটর করতে পারবেন।
এ সম্পর্কে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক এলিয়াছ হোসেন বলেন, সার্ভারে ফাইলগুলো অনন্তকাল থেকে যাবে। এর আগে ফাইল হারানোর মতো যে ঘটনাও ঘটেছে, তেমন আর হবে না।
অধিদপ্তর বলছে নভেম্বর থেকে পুরোপুরিভাবে চালু হবে নথি সফটওয়্যার। এটি চালু হলে ঘুষ দুর্নীতিসহ বিভিন্ন জটিলতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছে অধিদপ্তর। সূত্র: ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি