ক্রাইমবার্তা রিপোট:কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিমাতা ভাইয়ের দেয়া এসিডে ঝলসে গেছে বোনের শরীর। হাসপাতালের বিছানায় অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফট করছেন ঝলছে যাওয়া ওই নারী।
উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের পূর্ব রামখানা তালুকদার পাড়ার মৃত হয়রত আলীর ছেলে হায়দার আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে তার বিমাতা বোন মালেকা বানুর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে হায়দার আলী, তার দুই ছেলে দুলাল হোসেন ও মিঠু, বোন জামাই গাজীউর রহমান মাস্টার, ফুফাত ভাই রুহুল আমিনসহ সিঁধ কেটে বিমাতা বোন মালেকা বানুর শোয়ার ঘরে প্রবেশ করে। তারা তার মুখ চেপে শরীরে এসিড ঢেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসিডে ঝলসে যাওয়া মালেকার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিআরএম মোকসেদুর রহমান বলেন, এটি ক্যামিকেল বার্ন। এতে তার শরীরের প্রায় ২৭ শতাংশ ঝলসে গেছে।
মালেকা বানু বলেন, আমার স্বামী হায়দার আলী মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। বড় ছেলে মাজহারুল ইসলাম (১৬) অন্যের দোকানের কর্মচারি। সে সেখানেই থাকে। ছোট ছেলে মনিরুজ্জামানকে (১২) পাশের ঘরে রেখে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। অন্যান্য দিনের মত শুক্রবার রাতে ঘুমিয়ে পড়লে বিমাতা ভাই, ভাতিজারা এসিড দিয়ে আমার শরীর ঝলসে দেয়। এর আগে ২০০৯ সালে তারা একবার আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। সে সময় আমাকে বাঁচাতে এসে বোন নুরজাহান তাদের হাতে প্রাণ হারায়। আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও তারা আমার দুই পা পিটিয়ে ভেঙে দিয়েছে।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজালুর রহমান বলেন, আমরা তদন্ত করছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।