ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির নিবন্ধন বাতিল আর জুযুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আপনাদেরই তো রাজনীতি জনগণের মন থেকে বাতিল হয়ে গেছে। কোনো আপস নয়, সংগ্রাম। প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করবো তবু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবো না।
তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখলে গোপন পথেই কিন্তু তারা প্রতিশোধ নেবে। অলিত গলিতে, চিপায় চাপায় গিয়ে প্রতিশোধ নেবে। এর জন্য দায়ী কিন্তু রাষ্ট্র। সুতরাং গণতন্ত্রের বিকল্প হলো গণতন্ত্র।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আসন্ন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে বীর উত্তশ শহীদ জিয় শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ। সংগঠনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আজকে দেশে কোনো
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই। এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে প্রতারণা করছে। তারা আবারো অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। কিন্তু আমরাতো এই জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করিনি।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, শুধু মুখে মুখে আর ঘরে বসে
গণতন্ত্রের কথা বললে হবেনা। টেলিভিশনে চেহারা দেখিয়ে আন্দোলন হয়না।
স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করতে হবে রাজপথেই। আসুন আমরা গণতন্ত্রের জন্য আরো একবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করি। খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, এতই সহজ যে খালেদা জিয়ার সাজা হয়ে যাবে? আজকে যাদের ফাঁসি হওয়ার কথা তারা রাষ্ট্র চালাচ্ছে। আর
আমাদের নেত্রীকে সাজা দিয়ে দিবে। এতই সহজ। আমরা কি মরে গেছি? এ ব্যাপারে কোনো ফর্মূলা দিয়ে কাজ হবেনা। এখন পুরো দেশটাই কারাগার। নতুন কারাগারের প্রয়োজন নেই। আমরা সহকর্মীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করে নির্বাচনে যেতে পারিনা।
তিনি বলেন, রাজপথেই নামতে হবে। সেইপথে গণতন্ত্রকামী জনগণের লাইন দীর্ঘ হবে। আর দীর্ঘ লাইনের ধাক্কায় সরকার পড়ে যাবে।