স্বর্ণ চোরাচালান : পৃথক মামলায় বিমানের ১৬ কর্মকর্তাসহ ৪৩ জন অভিযুক্ত

ক্রাইমবার্তা রিপোট:ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণ চোরাচালানের পৃথক মামলায় বিমানের ৬ কর্মকর্তাসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে।প্রতিকী ছবি

১২৪ কেজি স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বিমানের ৬ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনকে।

আজ সোমবার ডিবির সহকারী অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার গোলাম সাকলায়েন ঢাকার সি.এম.এম আদালতে এ মামলায় চার্জশীট দাখিল করেন।

চার্জশীটে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, বিমানের জুনিয়র সিকিউরিটি অফিসার কামরুল হাসান, বিমানের সুইপিং সুপারভাইজার আবু জাফর, বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক মো: মাসুদুর রহমান, মেকানিক অ্যাসিস্ট্যান্ট আনিস উদ্দিন ভূঁইয়া, মেকানিক মজিবর রহমান, জুনিয়র ইন্সপেকশন অফিসার মো. শাহজাহান সিরাজ ওরফে বাবুল, নেপালের নাগরিক গৌরাঙ্গ রোসান, তার সহযোগী বাংলাদেশি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী মিলন শিকদার, সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আব্দুল বারেক তরফদার, ব্যবসায়ী সালেহ আহম্মদ খান, বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসার সালেহউদ্দিন, ব্যবসায়ী মানিক মিয়া, ব্যবসায়ী সুব্রত কুমার দাস ওরফে লিটন, ব্যবসায়ী এসএম নুরুল ইসলাম, মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী সালেহ আহম্মেদ, মো: রায়হান আলী, সিরাজুল ইসলাম এবং জসিমউদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৭০২ ফ্লাইটে ১২৪ কেজি স্বর্ণের চালান ধরা পড়ে। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। অতঃপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকার সি.এম.এম আদালতে বিমানের ৬ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেন।

এদিকে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাতটি টয়লেট থেকে ১০৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ বিমানের দশ কর্মকর্তাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এ.কে.এম ঢাকার সি.এম.এম আদালতে এ চার্জশীট দাখিল করেন। চার্জশীটে ৫৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- বাংলাদেশ বিমানের সিনিয়ার ইন্সপেকশন অফিসার শাহজাহান সিরাজ (৪৭), জুনিয়র ইন্সপেকশন অফিসার এস এম আ. হালিম (৫৩), এয়ারক্রাফট মেকানিক এ্যাসিস্ট্যান্ট আনিসউদ্দিন ভূইয়া (৪৩), এসি মেকানিক নিয়াজ মাহমুদ (৩৫), এয়ারক্রাফট মেকানিক মিলন খন্দকার (৫১), সহকারী মেকানিক ইমরান (৪২), এসি মেকানিক শেখ হারুন আর রশিদ (৫০), এসি মেকানিক মতিন মিয়া (৪৩), জুনিয়র টেকনিশিয়ান সিরাজুল ইসলাম ও জুনিয়র টেকনিশিয়ান এস এম হালিম।

২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইটের সাতটি টয়লেট থেকে ১০৬ কেজি স্বর্ণের চালান উদ্ধার করে শাহজালাল বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা। উদ্ধার করা স্বর্ণের মূল্য ৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এটি শাহজালালে আটক স্বর্ণের চালানের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। ওই ঘটনায় গোয়েন্দা ও তদন্ত শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মফিজউল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

Check Also

ঢাকা প্রসঙ্গে বদলাতে পারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি

পাঁচ দশকের বিরতির পর গত মাসে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ ডক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।