ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:সমালোচনামূলক বক্তব্যের জন্য মার্কিন নারীরা ট্রাম্পের ঘোর বিরোধী হলেও সবাই তা নয়! ২০০৬ সালে শিরোপা জেতা আমেরিকার সেরা সুন্দরী টারা কর্নার অন্তত ট্রাম্পের
কাছে কৃতজ্ঞ। সম্প্রতি তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, সবার চক্ষুশুল এই ব্যক্তিই তার জীবন বাঁচিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে’তে লেখা প্রবন্ধে কর্নার জানান, নেশায় আসক্ত হওয়ার ফলে যখন তার শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার জোগাড় ঠিক তখন ত্রাতা হিসেবে পাশে দাঁড়ান ডোনাল্ড ট্রাম্প। জীবনকে নতুন করে সাজাতে সাহায্য করেন।
টারা কর্নার জানান, খেতাব জয়ের পর কোকেন’এর নেশায় মারাত্মকভাবে আসক্ত হন তিনি। নেশাটা এমন পর্যায়েই পৌঁছায় যে বদনামের কারণে শিরোপাটাই তার চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। জুরী বোর্ড পড়ে টারাকে পরীক্ষা করলে শরীরে কোকেন’এর উপস্থিতি পায়।
সেসময় সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজনে ট্রাম্পের ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বার্ষিক এই আয়োজনের কর্ণধারই ছিলেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে টারা কর্নারের বিরুদ্ধে কোকেন আসক্তির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় শিরোপা প্রত্যাহার করা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়।
কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তিনি সব সময় দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়ায় বিশ্বাসী। ট্রাম্প বলেন, টারাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার সুযোগ দেয়া উচিৎ। যদি সে সুযোগটিকে কাজে লাগানে ব্যর্থ হয় তবেই শিরোপা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভাবা হবে।
শুধু এই সিদ্ধান্ত জানিয়েই নাকি ট্রাম্প থামেননি। টারা কর্নারকে রিহ্যাবে ভর্তিও করিয়ে দেন তিনি। এছাড়া স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেও নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাবেক এই মিস ইউএসএ’কে সাহায্য করেন। সূত্র: কেবিএ