ক্রাইমবার্তা রিপোট:যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেসের (জিএসপি) সুবিধা ফিরে পেতে আরও উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট।
বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টায় আশুলিয়ার ইউনিক বাসস্ট্যান্ডে আওয়াজ ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি বাংলাদেশ পছন্দ করি। বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধাভুক্ত দেশ হোক সেটা আমি নিজেও চাই। তবে সে জন্য আরও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
পোশাক খাতে অশান্ত পরিবেশ ও শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের মজুরি-বেতন বাড়াতে হবে। তবে আমি বলবো এটি একান্তই মালিক-শ্রমিক বিষয়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ঘরের স্ত্রীর সঙ্গে যদি ভালো সম্পর্ক থাকলে দ্বন্দ্ব থাকে না, সেখানে কোনো তৃতীয় পক্ষও অনুপ্রবেশ করতে পারে না, অস্থিরতা হয় না।
মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে বার্নিকাট বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই শ্রমিকরা যথাযথভাবে তাদের অধিকার আদায়ে সঠিক ব্যক্তির কাছে যেতে পারেন না। এ বিষয়ে শ্রমিক সংগঠনের ভূমিকা অনেক।
তিনি বলেন, রানা প্লাজা পরিস্থিতির পর ভাবা হয়েছিল তৈরি পোশাক খাত বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে হয়েছে কিন্তু উল্টোটা।
বার্নিকাট বলেন, টেকসই তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক মজুরি, তাদের সন্তানদের কল্যাণসহ নানা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সচেতন।
বাংলাদেশী লিভিং ওয়েজ সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রমিক তার পরিবারের সদস্যসহ ভালোভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারে এমনটাই হলো লিভিং ওয়েজ। সে জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করছে। শ্রমিকদের অধিকার ও চাহিদা নিয়েও চিন্তা করে।
এর আগে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ওয়ার্কার্স সলিডারিটি সেন্টার অফিস কার্যালয়ে দুপুর ১২টায় একটি কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বার্নিকাট। সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ছিল না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দসহ সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম নয়ন।
উল্লেখ্য, আশুলিয়ায় আওয়াজ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সালিডারিটি ও ইউএসএইড ওয়ার্কার্স কমিউনিটি সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।