ক্রাইমবার্তা রিপোট:আজ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে ব্রিফ করেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এ সময় তিনি আরো যোগ করেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হলে কারচুপির শঙ্কা কম থাকে।
আজ কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সভায় সিইসি এসব কথা বলেন।
আগামী ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে বলে ভোটারদের প্রাথমিক ধারণা।
এ ছাড়া একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে সুনামগঞ্জ-২ শূন্য আসনের উপনির্বাচন, তার আগে ২২ মার্চ হবে গাইবান্ধা-১ আসনে উপনির্বাচন। এসব নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে বৈঠকে বসে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে।
কমিশন সচিবালয়ে এ বৈঠকে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠক শেষে ব্রিফ করেন সিইসি।
বৈঠকে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সব নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এসব নির্বাচনের মাধ্যমে কমিশন সবার কাছে আস্থা অর্জন করবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘কুমিল্লা ও সুনামগঞ্জের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের কমিশনের ওপর যেন মানুষের আস্থার একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়, সেটা এই নির্বাচন থেকে বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে সবাই আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তাঁরা সহযোগিতা করবেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার ব্যাপারে প্রত্যেকেই তৎপর হবেন।’
কুমিল্লায় সেনা মোতায়েন বিষয়েও খান মো. নূরুল হুদা বলেন, ‘কুমিল্লায় সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে। যদি সেই ধরনের কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা হই, তাৎক্ষণিকভাবে সেনা মুভ করার জন্য তাঁরা প্রস্তুত থাকবেন। এটাই আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে।’