ভিসার নামে ১১ হাজার ৬শ’কোটি টাকা পাচার : টিআইবি

ক্রাইমবার্তা রিপোট:বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতি বিদ্যমান। সুশাসনের অভাবের কারনে অভিবাসী কর্মীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা হচ্ছে। ফলে এই ভিসা কেনা বাবদ গত ২০১৬ সালে সাত দেশেই অর্থ পাচার হয়েছে ১১ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি।

শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সুশাসন: সমস্যা ও উত্তোরনের উপায় নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার টিআইবির এক গবেষনা জরীপে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। টিআইবি অফিসে এই তথ্য তুলে ধরেন মনজুর ই খোদা ও শাহজাদা এম আকরাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিআইবি সাবেক চেয়ারম্যান এম. হাফিজউদ্দিন খান ও নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

টিআইবি বলছে, ভিসা কেনার নামে যে সাতটি দেশে অর্থ পাচার হয়েছে সেগুলো হলো, সৌদিআরব, বাহরাইন, ওমান, কাতার, আরব আমীরাত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে ওমানে। এখানে ২ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। সৌদিআরবে ২ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা, কাতারে ২ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা।

গবেষনায় বলা হচ্ছে, গন্তব্য দেশে ভিসা কেনার জন্য অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে। গন্তব্য দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাসে অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে চাহিদাপত্র সত্যায়নের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তারা তথ্যও যাচাই না করে সত্যায়ন করছে। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দালালদের কাছে জিম্মী হয়ে আছে এই খাতটি। অতিরিক্ত সরবরাহ ও আগ্রহের কারনে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। নি:স্ব হচ্ছে পরিবারগুলো। আইনী দুর্বলতার কারনে দালালরা সুযোগ পাচ্ছে। তিনি বলেন, অজ্ঞতা ও তথ্য না জানার কারনে দালাল ও এজেন্সিরা দ্বিগুণ থেকে ৫ গুণ অর্থ আদায় করছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ নেয়া হচ্ছে। ৯০ শতাংশের বেশি দুর্নীতির শিকার হচ্ছে।

Check Also

ঢাকা প্রসঙ্গে বদলাতে পারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি

পাঁচ দশকের বিরতির পর গত মাসে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ ডক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।