ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:কুমিল্লায় পুলিশের ধাওয়ার মুখে সড়ক দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজিত জনতা পুলিশের একটি মাইক্রোবাসে আগুন দিয়েছে। এসময় জনতা দুই পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। শুক্রবার ভোরে কুমিল্লার সদর উপজেলার বালুতোপা বাজারের পাশের সীমান্তমূখী একটি সড়কে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯টার দিকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে। আটক পুলিশ সদস্যদেরও ছাড়িয়ে নেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের ধাওয়ায় ওই যুবক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। রাস্তা থেকে প্রায় কয়েকশ ফুট দূরে একটি ধানের জমিতে নিহত ওই যুবকের মরদেহ গুম করতে চেয়েছিল পুলিশ।
তবে পুলিশের দাবি, সদর দক্ষিণ মডেল থানার এএসআই জহিরের নেতৃত্বে পুলিশ রাস্তায় টহল দিয়ে ভোরে থানায় ফেরার পথে সদর উপজেলার চাপাপুর এলাকায় এক মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাওয়া করলে সে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে নিহত হয়। এসময় পুলিশের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটকে যায়। এ ঘটনায় সকালে উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কনস্টেবল কামাল ও খোরশেদকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক দুই পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করেছে।
সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ওই যুবক নিহত হয়েছে, অন্য কারণে নয়। কিন্তু এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাল মর্গে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ রাস্তা থেকে প্রায় তিনশ’ ফুট দূরে একটি ধানক্ষেতে নিহত ওই যুবকের লাশ গুম করার চেষ্টা করে। এতে উত্তেজিত জনতা তাদের ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে জনতার কবল থেকে উদ্ধার হওয়া দুই পুলিশ সদস্যকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ওই যুবক নিহত হয়েছে। তবে এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ভুল বোঝাবুঝি হয়। এক পর্যায়ে তারা দুই পুলিশ সদস্যকে আটকে রাখে। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।