ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোর্ট:বিশ্বখ্যাত মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী জুনিয়রকে আবারো মার্কিন বিমানবন্দরে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তাকে বিমানবন্দরে আটক করা হলো।
গত মাসে তাকে এবং তার মাকে ফ্লোরিডা বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছিল। তার মা খলিলা ছিলেন মোহাম্মাদ আলীর প্রথম স্ত্রী।
গতমাসে তাকে আটকের বিষয়ে নিয়ে আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করে ফেরার পথে রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরে শুক্রবারে আটক করা হয়। তার আইনজীবী ক্রিস ম্যানচিনি এ কথা জানিয়েছেন।
আলী জুনিয়রকে প্রায় ২০ মিনিট আটক রাখা হয়। এ সময়ে ফোনে তিনি মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বা ডিএইচএস কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। নিজের ড্রাইভার লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট দেখানোর পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ওয়াশিংটনে বক্তব্য দিতে যাওয়ার কারণেই ডিএইচএস এ সমস্যার সৃষ্টি করেছে বলে মনে করেন আইনজীবী ম্যানচিনি। এ ছাড়া তার প্রতি নজর রাখা হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ম্যানচিনি।
এদিকে মোহাম্মদ আলী জুনিয়রকে আটকের কথা পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছে মার্কিন ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা টিএসএ। বিমানে ওঠার আগে আলীর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
এ ছাড়া, তার শরীরে হাত দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিএসএ মুখপাত্র লিসা ফার্বস্টেইন। ফার্বস্টেইন বলেন, শরীরে থাকা একটি অলঙ্কারের কারণে স্ক্যানারে বিপদ সঙ্কেত বেজে ওঠায় এটা করা হয়েছে।
এদিকে, এক সাক্ষাৎকারে আলী জুনিয়র এবং তার মা বলেন, মুসলমান হওয়া এবং আরবি নাম রাখায় আটকের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে, আমেরিকায় ধর্মীয় স্বাধীনতার দাবিতে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা। তাদের কর্মসূচির প্রতি সমর্থন দেন মার্কিন মুষ্টিযুদ্ধ জগতের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ইভান্ডার হলিফিল্ড, ল্যারি হোমস এবং রবার্ট ডুরোনসহ অন্যান্যরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিরোধী হিসেবে নিজেদের তুলে ধরে তারা বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে মুসলমানদের অন্যায়ভাবে লক্ষবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে।