৪৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
শুক্রবার দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ যখন ব্যাট হাতে নেমেছিল তখনই অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছিল দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকারকে। চতুর্থ দিনের খেলাও অনেকটা দাপটের সঙ্গেই শেষ করেন দুই ওপেনার।
আলোর স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা আগেই শেষ হয়। তবে স্কোরবোর্ডে জ্বল জ্বল করছিল ৬৭ রান। তাও আবার কোনো উইকেট না হারিয়েই।
শনিবার আবারও প্রথম থেকেই শুরু করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবে সকালেই অন্য এক বাংলাদেশকে দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। একেবারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় বাংলাদেশের টপঅর্ডার।
ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি তামিম, মুমিনুল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। অপ্রয়োজনীয় শট খেলে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
৬৭ রান নিয়ে ৫ম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু কোনো রান যোগ করার আগেই গুনারত্নের বলে বোল্ড হন সৌম্য। তিনি ৫৩ রান করেন।
এরপর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল হকও। তিনি মাত্র ৫ রান করে দিলরুয়ান পেরেরার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। আর ১৯ রান করা তামিমকে আউট করে নিজের দ্বিতীয় শিকার তুলে নেন পেরেরা।
অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে থাকলেও তিনি হতাশ করেন। মাত্র ৮ রান করে হেরাথের বলে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ওই ওভারেই কোনো রান না করেই আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিক। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাসকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ রানের মূল্যবান জুটি গড়ে ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দেন মুশফিক।
তবে লাঞ্চ বিরতির পরই যেন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে সান্ডাকানের করা লেগ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুশফিক। এরপর ৩৫ রান করা লিটন দাস হেরাথের বলে সাজঘরের পথ ধরেন।
এরপর তাসকিন আহমেদকে সাজঘরে পাঠিয়ে নিজের চতুর্থ শিকার তুলে নেন হেরাথ। তাসকিন ৫ রান করেন। আর মোস্তাফিজকে ফিরিয়ে নিজের ৫ম উইকেট তুলে নেন লংকান অধিনায়ক।
শেষ দিকে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু তিনিও হেরাথের ঘূর্ণির কাছে পরাস্ত হয়ে ২৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
এর আগে ৬ উইকেটে ২৭৪ রানে শ্রীলংকা তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। সফরকারী বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩১২ রানে গুটিয়ে গেলে লংকানরা ১৮২ রানের লিড পায়। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা করেছিল ৪৯৪ রান। এতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৫৭ রানের।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। আগামী ১৫ তারিখ কলম্বোয় শেষ টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ