ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাভারে বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে অস্ত্র ঠেকিয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে চার বখাটে। খবর পেয়ে রোববার দুপুরে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাভার সদর ইউনিয়নের মিটন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে গণধর্ষণের পর পরই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্য ধর্ষণের বিচারের আশ্বাস দেওয়ায় ধর্ষীতার পরিবার এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
ধর্ষিতার বাবা বলেন, তার মেয়ে মিটন গ্রামের স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী সুলতানের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় স্কুল ছাত্রী। অনুষ্ঠান শেষে রাত ১২টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রী বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাড়ির সামনে এসে পৌছালে সেখানে আগে থেকেই উৎপেতে থাকা একই গ্রামের চার বখাটে সিরাজের ছেলে আনোয়ার, সুমনের ছেলে সুজন, আয়নালের ছেলে রনি ও দুখা মিয়ার ছেলে সাইদুল অস্ত্র ঠেকিয়ে স্কুল ছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে তার উপর শুরু করে পাশবিক নির্যাতন। রাত সাড়ে চারটা পর্যন্ত নির্যাতন করার পর বখাটেরা তাকে ঘটনাস্থলে ফেলে চলে যায়। পরে ভোর রাতে ধর্ষীতার পরিবার অনেক খোঁজাখোজির পর গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়।
এদিকে এ ঘটনার পর পরই ধর্ষণকারীরা ওই এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় ইউপি ওয়ার্ড সদস্য শুক্কর আলী ও ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা এ ঘটনায় বিচার করে সামাধানের আশ্বাস দেয়। এছাড়াও এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করলে ওই পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করে দেওয়ারও হুমকি দেয় ধর্ষণকারীরা।
অন্যদিকে ধর্ষীতা স্কুল ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, চার বখাটে তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নেওয়ার পর পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। তিনি এ ঘটনায় ওই বখাটেদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন, তার মতো আর কোনো মেয়ে ধর্ষণের স্বীকার যেন না হয়।
স্কুল ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ধর্ষণকারীরা স্থানীয় প্রভাশালী। এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করলে তারা তাদের ওই গ্রামে থাকতে দিবে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য শুক্কু আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে সাভার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্বভ হয়নি। এছাড়াও ধর্ষীতার পরিবারকে সব ধরনের আইনী সহযোগীতা করা হবে বলেও তিনি জানায়।
Check Also
সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে দুবলার চরে গেলেন ৪০১জন পূণ্যার্থী
উপকূলীয় অঞ্চল (শ্যামনগর): পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে রাস মেলায় গেছেন …