ক্রাইমবার্তা রিপোট:সিলেটের সবজি বিক্রেতা শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর আগামী ১১ এপ্রিল রায় দেবেন হাইকোর্ট। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রবিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এই দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্যে দিয়ে শুনানি শুরু করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও বিলকিস ফাতেমা। আর আসামিপক্ষে ছিলেন এস এম আবুল হোসেন, বেলায়েত হোসেন, শাহরিয়ায় ও শহিদ উদ্দিন চৌধুরী।
পরে এ ব্যাপারে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম বলেন, ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের ওপরে শুনানি শেষ হয়েছে। হাইকোর্ট ১১ এপ্রিল রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
তিনি জানান, রাজন হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে ১০ আসামির মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তিনজনের সাত বছর করে এবং অপর দুজনের একবছর করে কারাদণ্ড হয়। পলাতক পাভেল আহমেদ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি আপিল ও জেল আপিল করেছেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নূর মিয়ার আপিলের ওপর শুনানি হয়।
প্রসঙ্গত, সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে গত ২০১৫ সালের ৮ জুলাই শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরাই সেই নির্যাতনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় তদন্ত শেষ করে ওই বছরের ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৭ কার্যদিবস বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই বছরের ৮ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দেন।
রায়ে আসামিদের মধ্যে কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল আহমদের ফাঁসির আদেশ হয়। এ ছাড়াও কামরুলের সহযোগী নূর মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তার তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদকে (পলাতক) সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তা ছাড়াও একবছর করে দণ্ড হয় দুলাল আহমদ ও আয়াজ আলীর।